গতকাল বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভায় নিজের ঘরে ডেকে পাঠান৷ শুভেন্দু ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, অশোক লাহিড়ি এবং মনোজ টিগ্গা৷ সূত্রের খবর, ঘরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বিরোধী দলনেতা৷ দু' জনের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়৷ মাত্র তিন-চার মিনিটের এই সাক্ষাৎই গতকাল থেকে রাজ্য রাজনীতির চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'যাঁকে ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম...', শুভেন্দুর অভিযোগের জবাবে অতীতে ফিরলেন মমতা
এ দিন সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর এই সৌজন্য বিনিময় নিয়েই দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়৷ জবাবে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, 'ওনাদের দীর্ঘ দিনের পুরনো সম্পর্ক, কী আছে জানি না৷ অনেকে কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করে আসেন, উনি ওখানে করেছেন৷ এটা ব্যক্তিগত বিষয়৷ পাবলিক ম্যাটার হওয়া উচিত নয়৷' শুধু ঘরে ডেকে পাঠানো নয়, শুক্রবার অবশ্য বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই তাঁকে 'ভাই' বলেও মন্তব্য করেন মমতা৷
আরও পড়ুন: মমতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম শুভেন্দুর! 'কেমন আছিস', জানতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রীও
এর পাশাপাশি শুক্রবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শাসক এবং বিরোধী বিধায়কদের একসঙ্গে দিল্লি গিয়ে রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ের জন্য দরবার করার প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷ কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, 'সৌজন্যবোধ, কথাবার্তার মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা ভাল৷ কিন্তু আমরা গিয়ে টাকা নিয়ে আসব আর উনি সেই টাকায় লক্ষ্মীর ভান্ডার দেবেন, পার্টির লোকদের পুষবেন, এটা হতে পারে না৷'
দিলীপ-শুভেন্দুর রসায়ন নিয়ে বিজেপি-র অন্দরে এমনিতেই অনেক প্রশ্ন রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর মমতার ডাকে সাড়া এবং পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম গেরুয়া শিবিরের ভিতরের সমীকরণ আরও জটিল করে তোলে কি না, তাও রাজনৈতিক মহলের কাছে কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য গোটা বিষয়টিকে সৌজন্য বলেই দাবি করেছেন৷ ঘনিষ্ঠ মহলে একই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীও৷