লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর ও বনগাঁ লোকসভা আসন জয়লাভের পর বহু পুরসভার হাতবদল হয়। তৃণমূল থেকে দলে দলে কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু মাস ঘুরতেই সেই দলত্যাগীদের বড় অংশ আবার তৃণমূলেই ফিরে যান। সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, 'যে কাউন্সিলররা তৃণমূল থেকে আমাদের দলে এসেছিলেন, তাঁরা এখানে টাকা কামাতে পারছেন না। ক্ষমতাও ভোগ করতে পারছেন না। তাই তারা ক্ষমতা ও টাকা কামানোর জন্য আবার তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন।' তারপরই মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের মন্তব্য, 'বিজেপিতে আসার জন্য লাইন লেগে গিয়েছে। আমরা এখন থেকে বেছে বেছে দলে নেব।'
advertisement
২০২১ এর আগে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিজেপি ফেলতে পারবে কি না, সে প্রশ্নে নিরুত্তর দিলীপ। তার পালটা দাবি, 'শাসক দল ভয় পেয়েছে। তাই পুরসভা ও কলেজের ছাত্র সংসদ ভোট করাচ্ছে না। যেখানেই ভোট হচ্ছে, সেখানেই বিজেপি জিতছে। আমাদের শেখানো পদ্ধতি প্রশান্ত কিশোর ওদের শেখাচ্ছে। তাতে কোনও লাভ হবে না। এক গাছের ছাল আরেক গাছে লাগে না।'
এদিন দিলীপ ঘোষের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বাগদার বিধায়ক দুলাল বর, বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে দিলীপ একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেন।