তবে, রাজ্যে শোচনীয় পরাজয়ের পিছনে দলীয় কর্মীদের ভয়ভীতিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। বলেন, 'বহু এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। আমাদের কর্মীরা ভয় পেয়ে পিছিয়ে গিয়েছেন অনেক জায়গায়। গণনাকেন্দ্র ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ফলে ক্ষতি হয়েছে।' এমনকী যে জঙ্গলমহলে লোকসভায় অভাবনীয় ফল করেছিল গেরুয়া শিবির, সেখানেও এবার মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গেও দিলীপ বলেন, 'অনেক জেতা আসন আমরা হেরে গিয়েছি। কেন এমন হল, তা খতিয়ে দেখব।'
advertisement
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের আগে যে সমস্ত নেতারা তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে। বিজেপির বহু নেতা-কর্মী এবার তৃণমূল ফিরতে মরিয়া বলে খবর। যদিও সেই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ। তাঁর কথায়, 'গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ দল বদল করতে পারে। একটা দল ছেড়ে এসেছিলেন, এবার আরেকটা দলের যাবেন। গায়ের জোরে তো কাউকে আটকানো যাবে না। কিছু কিছু লোক উদ্দেশ্য নিয়ে দল করে। হাজার হাজার লোক এসেছে বিজেপিতে। এক-আধজন চলে গেলে যেতে পারেন।'
ইতিমধ্যেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি কর্মীরা। নিশানা থেকে বাদ যাচ্ছেন না দিলীপও। বাংলায় শোচনীয় ফলের পর শুক্রবারই প্রথমবার হুগলিতে সাংগঠনিত বৈঠক করতে গিয়েছিলেন তিনি। আর রাজ্য সভাপতিকে সামনে পেয়ে জেলা নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিক্ষুদ্ধ কর্মী-সমর্থকরা। দিলীপ অবশ্য তাঁদের পাল্টা বলে দেন, 'দরকার হলে তৃণমূলে চলে যান। কিন্তু গণ্ডগোল করে বিজেপিতে থাকা যাবে না।'
