২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের স্মৃতি?
মীরা পাণ্ডে পাঁচ দফায় ভোট করেছিলেন। পরে স্বীকার করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হাজার দুয়ারি ঘুরতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ তাদের পরিচালক ছিল স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু তবুও সাধারণ মানুষকে রোজ যেভাবে বোমা বন্দুক দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে, রাস্তায় মাঠে বোমা পড়ে আছে, এর একটা উদ্দেশ্য আছে। সাধারণ মানুষের সাহস বাড়ানোর জন্যই সেন্ট্রাল ফোর্সের দরকার আছে।
advertisement
রাজ্যপালের মাস্টার মুভ
এখন এটা চলন হয়ে গেছে, যে রাজ্যপাল আসবে, তার বিরোধিতা করো। এ রাজ্যে এটা খুব হয়। দু'পক্ষ ভাগ হয়ে যায়। আমি প্রথমেই বলেছি, রাজ্যপাল নিরপেক্ষ ভাবে সংবিধানের পক্ষে কাজ করবেন। নতুন এসেছেন। তার মতো এফিসিয়েন্ট মানুষ খুব কম এসেছেন। সময় লাগবে। উনি ডান দিকে পা রাখলে ওরা চেঁচাচ্ছে। বাঁদিকে পা রাখলে এরা চেঁচাচ্ছে। তিনি যেটা শুরু করেছেন, অন্যরা যখন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত, তখন ট্যুর কাঁটছাঁট করে উপদ্রুত জায়গায় গেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজখবর নিয়েছেন। কাল পুজো দিয়েছেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখেছেন। প্রশাসক এরকমই হওয়া উচিৎ। কান দিয়ে নয়। চোখ দিয়ে দেখা উচিৎ।
আরও পড়ুন: ওপারেই বাংলাদেশ, আর এপারে মালদহে যা ঘটছে, হাড়হিম সকলের! কী মারাত্মক অবস্থা
বিজেপির যে কোনো কর্মসূচিতেই বাধা
এটা নতুন না। যেই বিজেপি শক্তিশালী হল, ভোটে জিততে শুরু করল, তখনই টনক নড়ল। তাকে আটকানোর চেষ্টা হল। এইভাবে আটকানোর চেষ্টা হলে বিজেপি গণতান্ত্রিক ভাবে মোকাবিলা করবে। এ রাজ্যে সব কিছু কোর্ট নির্ণয় করে। চাকরি পাবে কিনা, ডিএ পাবে কিনা। এই সরকার আছে কেন? লোকে কেন ভোট দিয়ে জিতিয়েছে? এরা তো কোনও নির্ণয় নেবে না। কোর্ট নেবে। সেন্ট্রাল ফোর্স কোর্ট দিল। সিবিআই কোর্ট দিল। সরকারের কোনো অস্তিত্ব নেই। এটা সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়।
ডিএ ইস্যুতে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে বৈঠকের নির্দেশ আদালতের
আমি বারবার বলেছি আলোচনায় বসুন। দিল্লিতে কৃষি আন্দোলন হল। সরকার দশ বার আলোচনায় বসেছে। ওরা মানেনি সেটা আলাদা কথা। পরে দেশের স্বার্থে সরকার সেই আইন তুলে নিয়েছে। এখানে তো কথা বলতেই রাজি না। তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে। চোর ডাকাত বলছে। এদের ঘাড়ে কাঁঠাল ভেঙে আপনি সরকার চালাচ্ছেন। এরা আপনাকে ব্যালটে ৬০ শতাংশ ভোট দিয়েছে। এটা কি মুখ্যমন্ত্রীর মুখের ভাষা? পারবেন কি পারবেন না, পরের কথা। আলোচনা তো করুন।
আরও পড়ুন: চৈত্রের শেষে পুড়বে বাংলা ! আগামী কয়েকদিন আবহাওয়ার কী পূর্বাভাস দুই বঙ্গে, জেনে নিন
শুভেন্দু অধিকারী সশরীরে হাজিরা
কিছু মানুষের সম্পত্তি হঠাৎ বেড়েছে। আগে ঝুপড়িতে ছিল, এখন রাজপ্রাসাদে থাকে। তবে কিছু অভিযোগ করলে তো তার তথ্যপ্রমাণ তো দিতে হবে আদালতে।