এদিকে, সিবিআই-এর মুখোমুখি হওয়ার আগেই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তার শিক্ষিকা মেয়ে 'নিখোঁজ'। এ প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ। বলেন, ''রাজনৈতিক আন্দোলন হবে। কিন্তু এই অবস্থা কেন হবে? পার্টি জয়েন করলেই মন্ত্রীত্ব। সন্দেহ প্রকাশ করছি এরা জেলে যাবে কিনা! না গেলে অবশ্য সমাজের মধ্যে হতাশা নেমে আসবে। চুরি করলে পালিয়ে বেড়াতে হয়, তাই হচ্ছে। রাষ্ট্রের অধিকার এবং ক্ষমতা আছে তাকে বের করে খুঁজে নিয়ে আসার। আমার মনে হয় এটা হবে। এই ঘটনা খুব হতাশাজনক। এক্ষেত্রে নজিরবিহীন শাস্তি হওয়া উচিত।''
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি শোরগোলের মধ্যেই নজরে অনুব্রত মণ্ডল, চিঠি দিলেন CBI-কে! আজ নিজাম প্যালেসে?
অপরদিকে, মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে শিল্পে দলীয় নেতাদের নাক গলানো নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গেও দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ''এইসব উনি আগেই বলেছেন, আমরাও শুনেছি। মেদিনীপুর, খড়্গপুর দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে গিয়েছে। উনি প্রতিবার এসে বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু সমাধান হয়নি। ওঁর কন্ট্রোল করার মত কিছু নেই।'' দিলীপের সংযোজন, ''এতদিন ব্যবস্থা নেননি কেন? উনি জানতেন না অপরাধ হচ্ছে। একটা বাচ্চা ছেলেও জানে। টাকার ভাগ সবাই পেয়েছে। রাজ্যকে আর কত নীচে নাবাবেন ওঁরা।''
আরও পড়ুন: রাত ২.৫০, এসএসসি অফিসে ঢোকে কেন্দ্রীয় বাহিনী! মাঝরাতে হাই কোর্টের বেনজির নির্দেশ
এদিকে, হাবড়ায় গুলি চলা প্রসঙ্গও দিলীপ ঘোষ বলেন, ''রোজই গুলি চলছে। নির্বাচনে এরা জিতিয়ে দেয় তাই সরকার এদের খোলা ছুট দিয়েছে। ওরাও জানে ওদের কিছু হবে না। এর সমাধান নেই। এই সরকারের পক্ষে সমাধান করা সম্ভবও নয়। প্রতিদিন খুন, ধর্ষন, গুলি সহ নানান অপরাধ বাড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে পুলিশের সংখ্যা কম আছে, না হয় যোগ্যতা নেই, না হয় পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।''