এখানেই শেষ নয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কটাক্ষ, ''কেন্দ্র যখন টাকা দিচ্ছে না বলা হচ্ছে, তখন কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে পাওয়া যাচ্ছে ? টাকার পাহাড়। এখানে পার্থ বাবুর ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, অনুব্রতর কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। আরও খোঁজ চলছে।'' এরপরই দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ''এই হারে যদি ধরা পড়ে তাহলে কে টাকা দেবে! কেন্দ্র থেকে যা টাকা এসেছে, সব নেতাদের বাড়ি চলে গিয়েছে, এই সরকারকে কেউ বিশ্বাস করে টাকা দেবে?''
advertisement
আরও পড়ুন: গোটা বিশ্ব মুগ্ধ, দেশের গর্ব সেই চেনাব সেতুর কলকাতা যোগ! যাচ্ছে এইচ বিম
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরেই রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল। ইডি, সিবিআই কেন্দ্রের মোদি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে এ রাজ্যের শাসক দল। এই প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ''এটা দুঃখের বিষয়। আমাদের রাজ্যের নেতারা দুর্নীতিতে ধরা পড়েছে লজ্জার বিষয়। আর আবার মিছিল করছেন, এটা সমাজের কাছে লজ্জার বিষয়।''
আরও পড়ুন: শুরু বৃষ্টি, রবিবার থেকেই বাংলায় আবহাওয়ায় ব্যাপক বদল! জারি সতর্কতা
তৃণমূলের একাধিক নেতার অত্যাধিক সম্পত্তি নিয়ে মামলায় হাইকোর্ট ইডি-কে পার্টি করেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''চোর ডাকাতদের কোন মান সম্মান থাকে না। মোদিজি না দিলীপ ঘোষ কে কেস করেছে? সাধারণ মানুষ কেস করেছেন। নারদা আর সারদার কেসকে করেছে? সাধারণ মানুষ কেস করেছে। পার্টি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরে, তারা শুধু একমাত্র বিজেপি নয়, পরে সিপিএম কংগ্রেসও যুক্ত হয়েছে। পরবর্তীকালে SSC , টেট দুর্নীতি সহ গরু পাচার,কয়লা দুর্নীতি- সাধারণ মানুষ জানে কার কত বাড়িঘর আছে, কার কত গাড়ি আছে, কোথায় কোথায় সম্পত্তি হোটেল আছে? বোকা ভাবেন নাকি মানুষকে? এতদিন লুঠ করছিলেন, ভাবছিলেন কেউ কিছু করবে না। আজ যখন দেখছেন ব্যাপারটা উল্টো হয়ে গেছে, উল্টোপাল্টা বলছেন। আইন থেকে কেউ বাঁচবেন না। ভারতবর্ষের আইন সংবিধানের উপর যাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে, তার জন্য এই ব্যবস্থাটা খুব জরুরি ছিল।''
