প্রসঙ্গ: পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে সাত পুরসভার ভোট
দিলীপ ঘোষ: ওঁরা কেন একসঙ্গে ১০০ পুরসভার ভোট করলেন না? কেন হাওড়া ছেড়ে রেখেছেন? নিজেদের সুবিধা মতো ভোট করবেন, ভোট লুঠ করে জেতার চেষ্টা করবেন। তারপরে এই ধরনের নৈতিকতার কথা বলবেন! আপনাদের হিম্মত নেই ভোট করার। সব সময় চিন্তা যে হেরে যাব, হেরে যাব। তাহলে তো এই সমস্যা হবেই। সরকারের সমস্যা। সরকারের অবশ্য কোনও কাজ নেই । দুয়ারে সরকার আর লক্ষ্মী ভাণ্ডার দিয়ে কাজ শেষ করে দিচ্ছেন। কিন্তু বাকি যে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। কারণ নির্বাচন।
advertisement
প্রসঙ্গ: লকেটের সন্ত্রাস মন্তব্য
দিলীপ ঘোষ: যদি কেউ মারতে আসে তাহলে দাঁড়িয়ে মার খাব না আমরা। মহাভারতের যুদ্ধ কেন হয়েছিল? ভগবান কৃষ্ণ শান্তি করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন, যখন হল না, তখন যুদ্ধ। আমাদের বাঁচার অধিকার আছে, নির্বাচন লড়ার অধিকার আছে, ভোট লড়ার এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাবার অধিকার আছে, সেই জন্য যে রাস্তার প্রয়োজন হবে, সেই রাস্তায় আমরা যাব।
আরও পড়ুন: ভোরের শিয়ালদহ লোকালে রক্তারক্তি কাণ্ড, আঁতকে উঠল সকলে! আশঙ্কাজনক ব্যবসায়ী
প্রসঙ্গ: ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, তুমি শান্তিতে ভোট চাইলে আমরা শান্তিতে ভোট করাব, সরকার আমার। সরকার চাইছে শান্তিতে ভোট হোক…
দিলীপ ঘোষ: তোমরা তো সাপ চিরদিন। তাই কেউ তোমাদের বিশ্বাস করে না। সাপ নয়, কখনও কেউটে সাপ, এখন ঢোড়া সাপ হয়ে গেছ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে সারা বাংলায় যে অশান্তি হচ্ছে, খুন ধর্ষণ হচ্ছে , বাচ্চাদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, জেলায় জেলায় বোম বন্দুক, নেতার বাড়িতে বোম বন্দুক- এটা কে করেছে? শান্তির কথা বলেছেন আপনারা! লজ্জা করা উচিত ।
প্রসঙ্গ: অনুব্রতকে বাঘের সঙ্গে তুলনা ফিরহাদের
দিলীপ ঘোষ: আমি ওনাকে মনে করিয়ে দেব দুতিন বছর আগে যারা গেছিলেন ভুবনেশ্বর সেই বাঘরা কোথায় আছেন! চিন্তা করুন। তাদের জিজ্ঞাসা করুন, কী অবস্থা হয়েছে, দাঁত আছে না গেছে? কালো চুল সাদা হয়ে গেল, দাঁত চলে গেল। কেউ কেউ উপরে চলে গেল। বেশি লাফাবেন না, সময় খারাপ খুব।
আরও পড়ুন: 'দাবি মানি না, কিন্তু নির্বাচনী সমঝোতা করতে হয়', দিলীপের মন্তব্যে অস্বস্তি পড়ল বিজেপিই
প্রসঙ্গ: অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশে পঞ্চায়েত ভোট হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে
দিলীপ ঘোষ: ঠিকই বলেছেন । ২০১৮ তে যা বলেছিল, রেকর্ড হয়ে যাবে খুনোখুনির, সে জন্য ওনারা সেটা চাইছেন, ভয় দেখিয়ে পুলিশ ছাড়া কোনও ভোট তৃণমূল জিততে পারবে না।
প্রসঙ্গ: অনন্ত মহারাজের বক্তব্য উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল
দিলীপ ঘোষ: আমি জানি না অনন্ত মহারাজ কী কী বলেছেন, বলতে পারব না।
প্রসঙ্গ: সিউড়িতে বালিঘাটের দখল ঘিরে সংঘর্ষ
দিলীপ ঘোষ: যত গণ্ডগোল হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, যা কিছু আইনশৃঙ্খলার সমস্যা সব জায়গায় তৃণমূলের লোকেরা যুক্ত আছে। সমাজবিরোধী যা ছিল সমাজে, সব তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে নেতা হয়ে গেছে। পঞ্চায়েত হয়ে গেছে, এমএলএ পর্যন্ত হয়ে গেছে। মন্ত্রীদের ডায়ালগ শুনুন, একজন সর্বভারতীয় নেতা মহামন্ত্রী বলছেন যে ১৩ তারিখে তিনি নাকি পুলিশ না থাকলে এইখানে (কপাল দেখিয়ে) গুলি করতেন। আর একজন কোচবিহার থেকে বলছেন দাড়ি ছিড়ে দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এই কথা যদি বলেন তাহসে শান্তির কথা বলছেন? আমাদের দায় পড়েছে শান্তি রাখার? আমাদের বাঁচার অধিকার আছে। আপনারা যে ভাষা বুঝতে পারবেন, সেই ভাষাতেই কথা বলব।
প্রসঙ্গ: ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার
দিলীপ ঘোষ: পুরো রিপোর্ট চাই। কাল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যতেও এসেছে যে, পুরো রিপোর্ট হিসেব না এলে এক পয়সাও ছাড়বে না কেন্দ্র সরকার। আর এই যে এদের চুরির জন্য বাংলার মানুষকে কষ্ট পেতে হচ্ছে। উন্নয়নের কাজ বন্ধ। রাস্তা ভেঙে গেছে, কোনও কন্ট্রাক্টর কাজ নিচ্ছে না, কারণ পয়সা পাবে না। পঞ্চায়েতের কাজ আটকে গেছে। যে টাকা আসছে, নেতাদের পেট ভরতে চলে যাচ্ছে। উন্নয়ন কী করে হবে!
প্রসঙ্গ: ডিসেম্বর মাস
দিলীপ ঘোষ: আসুক ডিসেম্বর মাস, তারপর বোঝা যাবে।