১. আজ অভিষেকের স্ত্রীকে তলব
সিবিআই, ইডি ডাকছে এটা নতুন কিছু নয়। এবার খবর করুন, কতজন গ্রেফতার হচ্ছেন। সময় এসেছে জাল গোটাচ্ছে। ডাকাডাকি চলছে।
২. পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই হানা
এর আগেও একসঙ্গে রাজ্যে ১০-১২ জায়গায় হানা চলেছে। সারা দেশে এরকম হানা চলছে। দুর্নীতি সব জায়গায় চরমে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। সেই দুর্নীতির অভিযোগ মানুষ আদালতে করছেন। আদালত যেরকম আদেশ দিচ্ছেন, তদন্তকারী সংস্থা সেরকম কাজ করছে। আমারা দুর্নীতি দেখেছি বছরের পর বছর। সেগুলো সমাধানের পথে এগোচ্ছে। অনেক লোক এর আওতায় আসবেন। আগামী দিনে পরিষ্কার হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আমার ৯ মাস হয়ে গেল’, বিচারককে যা জানালেন অনুব্রত মণ্ডল, চমকে উঠল সকলে
৩. ১০০ দিনের টাকা হোক বা আবাস যোজনার টাকা আটকে যাচ্ছে। ধরে নিন, নেতারা দুর্নীতি করেছেন। আপনারা রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করছেন না কেন? এতে তো সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত!
এতে রাজনীতি করে কী হবে! দুর্নীতিতে রাজনীতি লড়াইয়ে কী হবে? আইন অনুযায়ী হয়েছে। যে গ্রাম উন্নয়নের জন্য যে ধারা আছে তার ২৭ নম্বর ধারায় বলা আছে, যদি টাকার অপব্যবহার হয়, সৎ ভাবে ব্যবহার না হয়, সরকার টাকা বন্ধ করতে পারে, অনুসন্ধান করতে পারে। সরকার দুটোই করছে। এখন তো কোর্টে গিয়েছে। ভাল হয়েছে, সব সত্য সামনে আসবে যেটা লুকোনো হচ্ছিল। ওরা বলছে, সব করে দিচ্ছি, যেই টাকা বন্ধ হচ্ছে তখনই বলছেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। সব সমস্যার সমাধান হবে।
৪. আপনাদের কথাতেই কি টাকা আটকে যাচ্ছে? এতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের ক্ষতি হবে না তো?
কার ক্ষতি, লাভ হবে! ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ গরীব মানুষের। গরীব কল্যাণ যোজনার যত প্রকল্প চলছে সেই প্রকল্পের টাকা লুঠ হচ্ছে, সেটা এ রাজ্যের সাধারণ মানুষ বাড়ি, শৌচালয়, পাচ্ছেন না এমন কী রেশন অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। ১০০ দিনের টাকা, সড়ক যোজনার টাকা লুঠ হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি কার হচ্ছে? গরীব মানুষের। যে উদ্দেশ্যে টাকা পাঠানো হচ্ছে সেখানে যদি টাকা না পৌঁছয়, কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকার আছে তদন্ত করার, বন্ধ করার। সেটা হচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে। কোর্টে বিচার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রুজিরাকে ডাক ইডির! অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, মমতার অভিযোগ! আজ সব নজরে সিজিও কমপ্লেক্স
৫. পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এর জন্য আপনাদের অসুবিধা হবে না তো?
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এই চোরের দলকে এখন থেকে তাড়াবে। সব জায়গায় লুঠের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ৫৬ লক্ষ বাড়ির টাকা এসেছে একটাও বাড়ি হয়নি! কারা ক্ষতিগ্রস্থ হল? গরীব মানুষ। নরেন্দ্র মোদি তো টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। টাকা দিলে হিসেব চাওয়ার অধিকার আছে।
৬. ওড়িশায় ফের ৬ জনের মৃত্যু। আটকানো যাচ্ছে না কেনো?
কেউ যদি নিজের ইচ্ছেতে মৃত্যুর মুখে যায়, তাহলে কে আটকাবে? রেল গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, তার নীচে যাচ্ছে। রেল গাড়ি চলতে আরম্ভ করল, কাটা পড়ল। এরকম যদি কেউ স্বেচ্ছামৃত্যু করে রেল কী করবে? সরকার কী করবে?
৭. ২০১৭-২০২১ সালের ক্যাগের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি!
জাতীয় সুরক্ষাতেই তো সব থেকে বেশি টাকা খরচ করা হচ্ছে। সব খাতেই টাকা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু অ্যাক্সিডেন্ট তো হতেই থাকে!
৮. ফিরহাদ হাকিম বলছেন, আমাকে পদত্যাগ করতে বললে আগে বলব প্রধানমন্ত্রীকে এত বড় দুর্ঘটনার জন্যে পদত্যাগ করতে।
কোনো ভদ্রলোককে কেউ পদত্যাগ করতে বলেন না। কার কথায় কে পদত্যাগ করে? বললে পদত্যাগ করবেন নাকি? দুকান কাটা তো সব। আমরা এসব বলে সময় নষ্ট করব না।
৯. দিনভর সিবিআই হানা, চক্রান্তের অভিযোগ মমতার। এবার কি বাথরুমে ঢুকবে?
বাথরুমে, বেডরুমে দুজায়গায় ঢুকবে। যেখানে টাকা লুঠ করে রেখেছেন। এই যে অনুদানে ২০০০ টাকার নোট দেওয়া হচ্ছে, এটা কী ধরনের প্রহসন! আপনি সুযোগ পেয়েই হাত ধুয়ে নিচ্ছেন! টাকা কোথায় থাকে, আমরা জানি। বাথরুম বেডরুম খাটের নীচে সব জায়গায় যাবে। সিবিআই নিয়ে এত কষ্ট কেন? পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে, শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত করলেই কষ্ট! সিবিআইয়ের কাজই দুর্নীতির তদন্ত করা। আপনি যদি স্বচ্ছ থাকেন, তাহলে টেনশন নেওয়ার কোন দরকার নেই।
১০. রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লির ডাক, কৃষি ভবনে অনির্দিষ্টকালের ধরনা!
ডাক দিচ্ছেন না কেন? এখানেই চোর চোর শুনতে হচ্ছে। ওখানে গেলে তো ডাকাত শুনতে হবে। সারা ভারতবর্ষের কাছে এদের মুখোশ খুলে গেছে। ওঁর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) পিসিমণি দিল্লির ডাক দিয়ে এখানেই বসে পড়েছিলেন। ভাইপো কবে থেকে দিল্লির ডাক দিচ্ছেন, গেলে ওঁকে একাই যেতে হবে, ওঁর সঙ্গে কেউ যাবে না। ওঁর এমপি’রাও বেরোতে চান না।