রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওনাদের একজন সাংসদ কীভাবে বোমা তৈরি করতে হয়, কী কী জিনিস দিতে হবে সেটাও বলে দিচ্ছেন টিভিতে। এরপর এমএলএ মদনবাবু বলে দিচ্ছেন কীভাবে ট্রেনিং দিতে হবে, ট্রিগারে কোথায় হাত দিতে, কাঁধে কোথায় বন্দুক রাখবে, কার পিছনে দেবে। ওদের বড় বড় নেতা যদি এইরকম গ্যাংস্টার হয়, বাকি যাঁরা আছে তাঁরা তো প্রেরণা পাবেই।’
advertisement
প্রসঙ্গত, শনিবার নৈহাটির রাজেন্দ্রপুরে মহিলা তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন মদন। সেখান থেকে গেরুয়া শিবিরকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন। খোঁচা দেন বিরোধী গেরুয়া শিবিরের নেতা দিলীপ ঘোষকেও। সোনারপুর শুটআউট প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘দিলীপবাবু বলেছেন, ওঁরা ওঁদের কর্মীদের ঘরে ঘরে অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। এগুলো তারই অংশ। তবে অস্ত্র কোথায় পৌঁছচ্ছে জানতে পারলে আমাদের ভালই হবে। আমাদের কর্মীরা গিয়ে ওগুলো নিয়ে নেবে। আমাদের কাছে ভাল প্রশিক্ষক রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাক্তন সেনা কর্মী এবং কর্নেল। আমাদের কর্মীরা ওই বন্দুক নিয়ে প্র্যাকটিস করবে যাতে সেগুলো বিজেপি ব্যবহার করতে না পারে। আমাদের কর্মীরা বন্দুকে গুলি ঢোকাতে এবং বার করতেও শিখবে।’ এর আগে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও মন্তব্য করেন বোমা নিয়ে। এর এই দুইয়ের পরিপ্রেক্ষিতেই রবিবার জোরালো আক্রমণ শানান দিলীপ ঘোষ। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্রমশ বিরোধী ও শাসকদলের তরজায় উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক আবহ।