এদিন হাওড়ার কানাইপুরে কর্মী সভায় গিয়ে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা যেমন চেয়েছি তেমনই হবে।আমরা এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি লাভবান হব। ফেয়ার নির্বাচন একটা কল্পনা। তবে আমরা যেখানে আছি, সেখানে নির্বাচনে লড়ে ফেরার চেষ্টা করব। সে প্যারামিলিটারী হোক অথবা পুলিশ হোক,আসলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যখন সুষ্ঠু নির্বাচন চাইছেন, তখন তাই হবে ৷ কেউ আটকাতে পারবে না,আর তা এই পঞ্চায়েত থেকেই হবে।’
advertisement
আগামীকাল আদালত পঞ্চায়েত ভোটে নিয়ে রায় শোনাবে ৷ এই পঞ্চায়েত ভোট মামলার প্রসঙ্গ উঠতে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘মনোনয়নের দিন বাড়ানোর পাশাপাশি সুনিশ্চিত করতে হবে প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন দিতে পারে। আমরা কোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মনোনয়ন ও ভোট হোক। অগাস্ট পর্যন্ত নির্বাচনের সময় আছে বিচারপতি বলেছেন।ওরা ভেবেছিল তাড়াহুড়ো করে করে দেব, সেটা আর হবে না।’
ভাঙড়ে প্রার্থী তালিকা জুড়ে শুধু আরাবুল, কাইজার ও রেজ্জাকের পরিবারের লোকজন
এখানেই শেষ নয়, নির্বাচনের সময় কীভাবে বুথ দখল ঠেকানো হবে তার মাস্টার প্ল্যানও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ৷ তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকেরা বুথ ঠেকানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন ৷ যা যা লাগবে সব করবেন ৷ ভোটের দিন কেউ বাইরে থেকে এলে ঢুকতে দেবো না, আর যদি ঢোকে বেরোতে দেবোনা। আমরা যদি ভয় পেতাম তাহলে বীরভূমে পেটাতে পারতাম না,টিএমসি যে ভাষা বোঝে সেই ভাষা এবার আমরা বলতে আরম্ভ করেছি।’
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্য সরকারের বিশ্বব্যাঙ্ক স্বীকৃতিকেও মিথ্যে বলে এই সভা থেকে আক্রমণ করেন গেরুয়া শিবিরের সেনাপতি ৷ এই পুরস্কারের কোনও প্রমাণ নেই ৷ নেট সার্চ করেও এর হদিশ মেলেনি ৷ পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোর্ট কেসের থেকে নজর ফেরাতে এসবই তৃণমূলের পরিকল্পনা বলে দাবি দিলীপ ঘোষের ৷