চন্দননগরের আলোক শিল্পী জয়ন্ত দাস ও তার টিম এই কাজ করেছেন। তিনি বলেন,”আলোর কাঠামোগুলো তৈরি করতে আমাদের কর্মীরা কয়েক মাস ধরে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। আলো দিয়ে জগন্নাথ দেব, মন্দির, শঙ্খ, পুজোর নানা উপকরণ ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি মানুষের ভাল লাগবে। নতুন ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়েছে যার উজ্জ্বলতা অনেক বেশি।” অন্যদিকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আসন্ন উদ্বোধন উদযাপনে জনপ্রিয় ‘ঘিবলি আর্ট’ এআই ফিচারকে দুর্দান্তভাবে ফুটিয়ে তুলেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। একে ২০২৫ সালের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক ইভেন্ট হিসেবে তুলে ধরেছে। এই ডিজিটাল বিপ্লবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চিত্র ফুটে উঠেছে দলের সদস্যদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এআই-নির্মিত প্রোফাইল ছবিতেও।
advertisement
রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রোফাইল ছবি বদলে নতুন জগন্নাথ মন্দিরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে নিজেদের ছবি তুলে ধরেছেন। বসিরহাট দক্ষিণের ডঃ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, বলাগড়ের মনোরঞ্জন ব্যাপারী এবং মুরারইয়ের মোসারফ হোসেন-সহ প্রায় ৫০ জন বিধায়ক এই বিশেষ ছবি ব্যবহার করেছেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে।
দলের পক্ষ থেকে প্রতিদিনের কাউন্টডাউনের অংশ হিসেবে জগন্নাথ মন্দির এবং তার পবিত্র নিদর্শনগুলি নিয়ে তৈরি এআই-নির্মিত অ্যানিমেটেড ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে। এই আকর্ষণীয় ভিডিওগুলি মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী এবং ধর্মীয় গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি রাজ্যবাসীর মনে উদ্বোধনের আগে এক আবেগঘন আবহ তৈরি করছে।
আরও পড়ুন : জগন্নাথ মন্দিরে সাজ সাজ রব, আজই দিঘা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২২ একরেরও বেশি এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণে আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তহবিল থেকে অর্থায়িত। আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৫, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে মন্দিরের উদ্বোধন হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র প্রাথমিক আচার অনুষ্ঠান ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কলসযাত্রাও।