কার্যত আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত দলে বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, দলের পতাকার পরিবর্তন কেনও করছেন নেতৃত্ব তা স্পষ্ট নয়। নিচুতলার কর্মীদের জবাব দেওয়ার দায় রয়েছে নেতৃত্বের। পতাকা পরিবর্তনের কোনও কারণ নেই। তাই পুরনো পতাকা ব্যবহার করার পক্ষেই রয়েছেন তাঁরা। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কাস্তে-হাতুড়ি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র লম্ফমান বাঘের প্রতীক দেওয়া পতাকাটি উত্তোলন করার কথা জানিয়েছেন নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: মোবাইলে প্রতারণার ফাঁদ, ফেসবুকে অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি
দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "আমরা কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যেহেতু নেই, সেহুতু পতাকার অংশটুকু পরিবর্তন করলাম। আমরা কৃষক ও শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়ে লড়ব। সুভাষ চন্দ্র ভারতে সব চাইতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন কৃষি, আর তারপর শিল্পে। তাই এটাকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখবে দল। অনেকে বিব্রত হচ্ছে এটা শ্রমিক শ্রেণির পার্টি রইল না। বুর্জোয়া গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটা পার্টি তৈরি হল। তাঁরা ঠিক ভাবছেন না। সুভাষ চন্দ্র যে বামপন্থী তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু আজ সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। বরং এখন মানুষ বলছে ভারতীয় বামপন্থার জনক সুভাষ চন্দ্র। দীর্ঘদিন আমরা পতাকায় কাস্তে হাতুড়ি ব্যবহার করেছি আন্তর্জাতিকতার কথা বলেছি। এখনও বলব। সুভাষ চন্দ্রের চাইতে বড় আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ভারতে আজ পর্যন্ত কোনও নেতা জন্মায়নি। তাই এই বিষয়ে তিনিই আমাদের আইকন।"
বুধবার নতুন পতাকার ছবি দিয়ে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন, "আজ ২২ জুন ফরওয়ার্ড ব্লকের ৮৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। দেশজুড়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতিটি কার্যালয়ে উত্তোলিত হবে শত শহীদের রক্তে রাঙা লালের উপর শোষণ বঞ্চনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের আপসহীন সংগ্রামের প্রতীক লম্ফমান ব্যাঘ্রের পতাকা। জয় হিন্দ।" সুদীপ বলেন, "পতাকা পরিবর্তনের যে কারণ নেতারা বলছেন তার কোনও ভিত্তি নেই। নেতৃত্ব নিজেদের সিদ্ধান্ত নিচূতলার উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। দল দিন দিন ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে অযোগ্য নেতৃত্রের কারণে। আমরাই দলের মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু আমাদের কথা শোনা হচ্ছে না। সত্যি কথা বললে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।" বিক্ষুব্ধরাও পুরনো পতাকার ছবি পোস্ট করে তার পক্ষে সওয়াল করেন এ দিন।
UJJAL ROY