'শুধু শিক্ষাতেই নয়, সবেতেই দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে বাংলা। শিক্ষায় অব্যবস্থা। দুর্নীতি, মিড ডে মিল থেকে স্কুল পোশাকে ঘোটালা'। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে এমনটাও তোপ দেগে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, 'শিক্ষায় তোলাবাজি! মমতার আমলে শিক্ষা আজ অশিক্ষায় পরিণত হয়েছে। এটা খুবই লজ্জার'। ধর্মেন্দ্র প্রধানের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়ে তৃণমূল শিবির বলছে, উত্তরপ্রদেশে যোগী রাজ্যে স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইডির রেড। উনি আগে সেটা বলুন'। শিক্ষক নিয়োগ থেকে মিড ডে মিল - শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়া হচ্ছে সুর। পালটা আসরে নেমেছে শাসক শিবিরও। শাসক বনাম বিরোধী সংঘাতে এ ভাবেই চড়ছে রাজনীতির পারদ।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় ৩০০-র বেশি ভর্তি হাসপাতালে, অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
প্রসঙ্গত, স্কুল শিক্ষা দফতরের চাকরি দুর্নীতির কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরা সবাই দুর্নীতিতে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলেও জানা যাচ্ছে।শুক্রবার যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা হলেন, সুব্রত সামন্ত রায়, কৌশিক ঘোষ, শাহিদ ইমাম, শেখ আলি ইমাম, আব্দুল খালেক এবং চন্দন মণ্ডল। আর এই ছয়জনের মধ্যে অন্যতম কৌশিক ঘোষ। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার ভড়ঞা এলাকার বাসিন্দা। কৌশিক নিজেকে দিল্লিতে পেট্রোলিয়াম সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিত গ্রামে।
আরও পড়ুন: এবার ঝেঁপে বৃষ্টি, বাদ নেই কলকাতাও! বিরাট পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের, সতর্ক থাকতেই হবে
এদিকে এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্যের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনের। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যোগের কথা শুক্রবার চন্দনকে গ্রেফতারের পরেই আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী