সম্প্রতি ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন অর্থাৎ ডিজিসিএ তাদের পাইলট, কেবিন ক্রু এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের পোস্ত খেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একজন মেডিক্যাল অফিসারের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পোস্ত হল একধরনের তৈলবীজ, যা আফিম থেকে পাওয়া যায়। সেটি নিয়মিত বা বেশি মাত্রায় খেলে সেই ব্যক্তির শরীরে মাদকাসন্ন হয়। আর এখানেই সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন ডিজিসিএ-র আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: আশা জাগিয়ে রাজ্যে আরও কমল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং সংক্রমণের হার, জানুন আপডেট
ডিজিসিএ-র (DGCA) দেওয়া এই নয়া নিয়মে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোস্তকে মাদক দ্রব্যের তালিকায় ফেলা যায় কিনা তাই ভাবাচ্ছে বাঙালি পাইলটদের। শুধুমাত্র আফিমের বীজ বলে সেটিকে মাদকদ্রব্য চিহ্নিত করা মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না বিমান সংস্থার কর্মীরা। তবে এই মুহুর্তে প্রতিবাদ করার জায়গাও নেই পাইলটদের। তাই নিয়মকে গ্রাহ্য করেই তাদের মেনে নিতে হবে ডোপ টেস্ট (Drug Test)। কারণ ডিজিসিএ-র দেওয়া নয়া নিয়মে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যে এবার থেকে বিমান চালক, সেবিকা বা ক্রু মেম্বারসরা যখনই বিমানে উঠবেন তাদের ডোপ টেস্ট (DOP Test) করা হবে।
আরও পড়ুন: কী কাণ্ড, করোনা টেস্টের নামে মহিলার গোপনাঙ্গের সোয়াব সংগ্রহ ল্যাবকর্মীর! তার পর যা হল...
পোস্ত খাওয়ার ফলে যদি পাইলট, কেবিন ক্রু, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের শরীরে সেই মাদকাসন্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে যেকোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। বিমানযাত্রীরা বিপদে পড়বেন। গত সোমবারই এমন নিয়মের কথা বলা হয়েছে। যে তালিকায় রয়েছে, ওপিওডস, মেটাবোলাইটস, অ্যামফিটামাইনস, অ্যামফিটামিন-টাইপ স্টিমুল্যান্টস, গাঁজা (মারিজুয়ানা), কোকেন, বারবিটুরেটস এবং বেনজোডিয়াজেপাইন-এর মতো নিষিদ্ধ মাদক (Drug Test)।