ট্যুইট করার পাশাপাশি এদিন ডেরেক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "অমিত শাহ এমনটা করে থাকেন। কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই এমনটা বলছেন।" অমিত শাহের কথার প্রত্যুত্তর দিতে গিয়ে গোটা দেশে বিজেপির পারফরম্যান্সের টুকরো ইতিহাস তুলে আনলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। তাঁর ব্যখ্যায়, বিহারে ২০১৫ সালে ২৫০টি সিটের মধ্যে ৫৩ টা আসন পেয়েছিল ওঁরা। মধ্যেপ্রদেশে দুই তৃতীয়াংশ বলে এক তৃতীয়াংশ আসন পেয়েছে। ছত্তিশগড়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, ২০১৮ সালে ৬৫ টা আসন পাবে, পেয়েছে ১৫ সিট। ঝাড়খণ্ডে ৮০টির মধ্যে পেয়েছে ২৫টি সিট।
advertisement
প্রসঙ্গত অমিত শাহ এদিন বলেন, বাংলায় এবারের ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনও প্রাণনাশ হয়নি। রাজ্য ও জেলার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝেছি তাতে বলতে পারি ৩০টির মধ্যে ২৬টি আসনই জিতব। উল্লেখ্য একই রকম স্বস্তির বার্তা গতকাল ভোট চলাকালেই শোনা গিয়েছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মুখে। রাজনৈতিক মহলের ব্যখ্যা এমন বার্তার দুটি কারণ হতে পারে। এক, সত্যিই বিজেপির পক্ষে ভোট হয়েছে। দুই, পায়ের তলায় মাটি সরছে বুঝে আগে ডিফেন্স মেকানিজম সাজাচ্ছে বিজেপি।
বসে নেই তৃণমূলও। দ্বিতীয় দফায় নতুন করে ঘুঁটি সাজানোই লক্ষ্য তাঁদের। শনিবার ১০ প্রতিনিধি নিয়ে কমিশনের অফিসে যাওয়ার পর, আজ আরও একবার কমিশনের শীর্ষকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। ডেরেক-সহ অন্য সব তৃণমূল নেতারই দাবি, অন্য এলাকার ভোটারকে বুথে এজেন্ট করা যাবে না। এজেন্ট করতে হবে যেই এলাকায় বুথ, সেই এলাকারই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে।
