দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আরও একগুচ্ছ নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ তদন্তকারীদের ধারণা, দেবাঞ্জন ভুয়ো নথির ব্যবহার করে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ভবনে আবেদন পাঠানোর প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা পাঠায়নি সে৷ সেরকমই একটি আবেদন পত্র দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
সূত্রের খবর, দেবাঞ্জন শুধুমাত্র ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিনকর্প নয়, কলকাতা পুরসভার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দফতরের নামেও সাতটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল৷ এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে টাকা কোথায় কোথায় সরানো হয়েছিল, তা জানতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ৷ দেবাঞ্জনের মেল আইডি নিয়েও তথ্য জানতে গুগলের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ৷ ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের তরফে গুগলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷
advertisement
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে এ দিনই দেবাঞ্জনের আর এক সহযোগী ইন্দ্রজিৎ সাউকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ অভিযোগ, সিটি কলেজে দেবাঞ্জন যে ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল, তার যাবতীয় আয়োজন করেছিল এই ইন্দ্রজিৎ৷ সেই দেবাঞ্জনকে সিটি কলেজে নিয়ে গিয়েছিল৷ এর পাশাপাশি পীযূষ নামে এক ব্যক্তিকেও খুঁজছে পুলিশ৷ অভিযোগ, এই পীযূষকে দিয়েই যাবতীয় ভুয়ো নথি তৈরি করত দেবাঞ্জন৷
Sukanta Mukherjee