এই ভাবে দীর্ঘদিন ধরে একই কাণ্ড ঘটিয়ে যেতে থাকে সে। কিন্তু, এই ধরনের ব্যবহার কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেনি রানা। আর এই নিয়েই মেট্রোর মধ্যে প্রথমে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।।তারপর মেট্রো থেকে বেরোনোর সময় মনোজিৎ-এর বুক লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে রানা। এতেই গুরুতর জখম হয় মনোজিৎ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত,শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতোই যাত্রীদের ভিড় এবং ব্যস্ততা৷ ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘সাক্ষীর দরকার নেই…’, ভার্চুয়াল শুনানিতে হঠাৎ একী বলে বসলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
কিন্তু, আচমকাই স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে স্কুল পড়ুয়া দুই ছাত্রের মধ্যে শুরু হয় বচসা৷ কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে এক ছাত্রকে কোপাতে শুরু করে তারই এক সহপাঠী৷ এই ঘটনায় রীতিমতো শিউরে ওঠেন স্টেশন চত্বরে থাকা যাত্রীরা৷ ছুটে আসেন স্টেশনে থাকা কর্তব্যরত আরপিএফ-এর জওয়ানরা৷ আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে প্রথমে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা৷ মাঝপথে ওই ছাত্র অসুস্থ বোধ করে৷ তখন তাঁকে বরানগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷