১)আম্মা নেই, মধ্যরাতে চেন্নাইয়ে মানুষের ঢল
আম্মা ইরান্তা আকিরাতু।
আম্মা আর নেই!
সোমবার রাত সাড়ে এগারোটার সময় মারা গেলেন তামিলনাড়ুর ছ’বারের মুখ্যমন্ত্রী, জে জয়ললিতা। সোমবার মাঝরাতে এই ঘোষণা করে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতাল। গত আড়াই মাস সেখানেই ভর্তি ছিলেন ৬৮ বছর বয়সি আম্মা।
advertisement
২২ সেপ্টেম্বর জ্বর ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন রোগভোগের পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, দাবি করা হয়েছিল দলীয় সূত্রে। গত কাল বিকেলে এডিএমকের তরফে জানানো হয়, কিছু দিন পরেই বাড়ি ফিরবেন তিনি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টে যায় ছবিটা।
২)জয়ার রাজ্য নিয়ে জোর অঙ্ক দিল্লিতে
কী হবে তাঁর পর— এই নিয়ে অঙ্ক কষা চলছিলই। জয়ললিতার মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরে সেই জল্পনা তুঙ্গে উঠল রাজধানীর রাজনীতিতে। বিজেপি-কংগ্রেস, দু’পক্ষই চায় আম্মার দলের সঙ্গে জুড়ে থাকতে। কারণ, শুধু তামিলনাড়ুর সরকারই নয়, লোকসভায় ৩৭ জন সদস্যও এডিএমকের। রাজ্যসভাতেও ১৩ জন সাংসদ রয়েছে তাদের।
জয়ার দল এত দিন এনডিএ-র কাছাকাছি ছিল। তাই লোকসভায় ডেপুটি স্পিকারের পদ কংগ্রেসকে না ছেড়ে জয়ললিতার দলের হাতেই তুলে দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে পরিস্থিতি কিছুটা ঘুরে গিয়েছে। বিরোধী শিবিরে বার্তা দিতে শুরু করেছে এডিএমকে। নোট বাতিল নিয়ে সংসদে বিরোধীদের ধর্নাতেও হাজির হয়েছিল তারা। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা আঞ্চলিক দলগুলিকে কাছে টানতে শুরু করেছেন। এ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে মোদী সরকার।
৩) নোট বাতিলের ধাক্কায় রাজ্যেই ৫ হাজার কোটি ক্ষতির আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী
নোট বাতিলের ধাক্কায় চলতি অর্থবর্ষের শেষ পাঁচ মাসে রাজ্যের সওয়া পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার বিধানসভায় বিতর্কে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রের এই নোট-বন্দি খেলায় ধ্বংসের পথে চলেছে দেশের অর্থনীতি। বাংলার অর্থনীতিকেও মরুভূমির ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত।’’ এর পরই রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতির একটি হিসেব বিধানসভায় তুলে ধরেন তিনি। মমতার কথায়, ‘‘নোট বাতিলের জেরে চলতি আর্থিক বছরের বাকি মাসগুলিতে রাজ্যের রাজস্ব আদায় ২৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। হিসেব মতো ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় ৫২৬০ কোটি টাকা। যা বার্ষিক রাজস্ব আদায়ের ১১ শতাংশ।’’
৪) প্রচারই সার, নগরে পথের বলি ৩
বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে যতই প্রচার হোক, এক শ্রেণির চালকের সে সব থোড়াই কেয়ার! সোমবার দিনে-দুপুরে কলকাতার রাজপথে বেঘোরে তিন-তিন জনের মৃত্যু ফের তা প্রমাণ করল।
অথচ ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ স্লোগান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। স্লোগানের পোস্টার, ব্যানার ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। আর কলকাতায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে পোস্টার সেঁটেছে লালবাজার, তৈরি হয়েছে ‘থিম সং।’ কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে একাধিক প্রচার-অনুষ্ঠানও হয়েছে।
১) প্রয়াত জয়ললিতা
শেষ হল ৭৫ দিনের জীবন-মৃত্যুর অসম লড়াই। ব্যর্থ হল তাবড় তাবড় চিকিৎসকদের যাবতীয় চেষ্টা। সোমবার মধ্যরাতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জয়ললিতা। ৬৭ বছরের ‘আম্মা’র অবস্থা যে ভীষণ সংকটজনক তা চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা এদিন সকালেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। চিকিৎসকদের সব রকম চেষ্টা সত্ত্বেও সোমবার কোনও রকম আশার বাণী শোনা যায়নি। জয়ললিতার বর্তমান শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য এদিন লন্ডনের চিকিৎসক রিচার্ড বেল আসেন চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে। তিনি জানিয়েছিলেন, এআইএডিএমকে নেত্রীর অবস্থা ভালো নয়।
২) কে কত টাকা তুলবে, মোদি বলার কে, আক্রমণ মমতার
নোট বাতিল নিয়ে যে বা যাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। বিরোধিতা করলেই লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আয়কর বিভাগ আর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আনা সরকারি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে ওই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩) বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত ৩, জখম ১৮
‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচার যে কতটা অসার, তা আরও একবার প্রমাণিত হল সোমবার। শহরের বুকে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল তিনজনের। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরের কাছে জিরাট সেতুর অদূরে। ঘটনায় কলকাতা পুলিশ বেসরকারি চা সংস্থার ওই গাড়িটির বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করে খুনের তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম সুশান্ত মণ্ডল (৫২), হালিমা খাতুন (১৫) এবং রাজীব রায় (৩৫)। এঁদের মধ্যে সুশান্তবাবুর বাড়ি সরশুনায়, হালিমার ভাঙড়ের চন্দনেশ্বরে এবং রাজীববাবুর মহেশতলার রায়পুরে। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। তৃতীয়জন মারা যান হাসপাতালে। আহত হয়েছেন মোট ১৮ জন। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ১১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
৪) নবান্নকে না জানিয়ে কেন্দ্রের কোনও নির্দেশ মানবেন না, অফিসারদের ফতোয়া মমতার
দিল্লি থেকে কোনও রিপোর্ট চাইলে দেবেন না। দিল্লির কোনও নির্দেশ মানবেন না। সোমবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ডব্লুবিসিএস অফিসারদের কাছে এই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সরকারের চালিকাশক্তি। রাজ্য সরকারের সমস্ত উন্নয়ন পরিকল্পনা আপনারাই বাস্তবায়িত করেন। নিচুতলার সমস্ত কাজ আপনাদের করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কোনও রিপোর্ট চাইলে রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে আপনারা কিছু দেবেন না। আপনারা যেমন রাজ্য সরকারের প্রতি দায়বদ্ধ, তেমনি আপনাদের পাশে সরকার আছে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কয়েকজনকে বিডিওপদে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর কথা বলা হয়। তা মানেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সাহায্যে চলা বিভিন্ন প্রকল্পের সম্পর্কে সরাসরি অফিসারদের কাছ থেকে রিপোর্ট চায় কেন্দ্রীয় সরকার।