নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যাঁরা ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদেরও এদিন কাজে যোগ দিতে হবে। ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কোনও ক্যাজুয়াল লিভ বা কোনও ধরনের ছুটি দেওয়া হবে না। নেওয় যাবে না হাফ ছুটিও। এই দু'দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবে বা দুদিনের মধ্যে যে কোনও একদিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন তাঁদের "সার্ভিস ব্রেক" হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ছে আতঙ্ক! এবার অ্যাডিনোরও পভাইরাসে মৃত্যু কলকাতার আড়াই বছরের শিশুর
শুধু তাই নয়, অনুপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শোকজ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। সেই শোকজ-এর উত্তর যথাযথ না হলে, উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হবে। তিনি কেন অনুপস্থিত থেকেছেন, তার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে হবে। দেওয়া হবে না ওই দুদিনের বেতনও। এই গোটা প্রক্রিয়া ২৮শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টার মধ্যে শেষ করা হবে।
মনে করা হচ্ছে, এই নির্দেশিকার মাধ্যমে রাজ্য ডিএ ইস্যু নিয়ে শিক্ষক - শিক্ষিকাদের জন্যেও কড়া বার্তা দিতে চেয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে মন্তব্য করেছিলেন, "আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই। আমি গুপী গাইন বাঘা বাইনও নয়।" যদিও এর আগেও কোনও বনধ বা কোনও ধর্মঘটের ক্ষেত্রে, রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছিল। সেই পথে হেঁটে এবারও এই ধরনের কোনও কর্মবিরতি রাজ্য যে মেনে নেবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এই নির্দেশিকার মাধ্যমে অন্তত তা স্পষ্ট।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়