প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই ২০১৯ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল(SAT) ডিএ মামলার রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, রাজ্য অল ইন্ডিয়া কনসিউমার প্রাইস ইনডেক্স ধরে ডিএ নিয়ে নীতি রূপায়ন করবে ৩ মাসের মধ্যে। পাশাপাশি ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ নির্ধারণ করে তা কার্যকর করবে রাজ্য।
আরও পড়ুন : 'এই সবে শুরু...', শিয়ালদহ স্টেশনে নেমেই বিস্ফোরক হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের! যা বললেন
advertisement
শুক্রবার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। আদালতে রাজ্য সরকার আগেই জানিয়েছিল, তহবিলে টাকা না থাকার কারণেই ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের এই যুক্তি মানতে চায়নি ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত বলেন, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী তাঁরা ডিএ পাবেন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিন মাসের মধ্যে সব ডিএ দিতে হবে। এমনকি ১ বছরের মধ্যে বকেয়া মেটানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কনফেডারেশন ডিএ-র দাবিতে রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বা স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিল। ২০১৯ এর ২৭ জুলাই স্যাট বলে ৬ মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা বা ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও সেই নির্দেশ অমান্য করে নবান্ন। এর পর স্যাট-এ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে একাধিক কর্মী সংগঠন। পরবর্তী সময়ে স্যাটের রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে রায় বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর স্যাটের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন জমা দেয় রাজ্য। ২০ মে সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়ে দেয় ডিএ দিতেই হবে রাজ্যকে।