রাজ্য এবারের ভোট প্রচারে 'দুয়ারে রেশন'-এর ঘোষণা করেছিলেন মমতা। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমফানের সময় ত্রাণ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। যা ভোটের প্রচারেও ব্যবহার করেছিল BJP। তাই এবার ইয়াসে সেই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি চান না মুখ্যমন্ত্রী। তাই ‘দুয়ারে সরকার’, তারপর 'দুয়ারে রেশন'-এর আদলে এবার ‘দুয়ারে ত্রাণ’ বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে? এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আগামী ৩ থেকে ১৮ জুন ‘দুয়ারে ত্রাণ’ শিবিরে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন নেওয়া হবে। এবার আর কারও মাধ্যমে নয়, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত, তিনি সরাসরিই আবেদন করবেন। যতটুকু ক্ষতি হয়েছে ততটুকুই বলবেন। ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সেই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে। তারপর ১ থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পেয়ে যাবেন।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিপর্যয় কাটলেই সবার আগে দ্রুত উদ্ধারকাজ, ক্ষতিপূরণের কাজ শুরু করা হবে। এদিনই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের থেকে ক্ষতির খতিয়ান নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১.১৬ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমির ক্ষতি হয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। এছাড়া স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় টর্নেডোর কারণেও প্রচুর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, ভেঙে গিয়েছে অজস্র কাঁচাবাড়ি। তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ মিলবে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে একটি টাস্ক ফোর্স। আপাতত রাজ্য সরকারের তরফে ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা। সেখানেও তিনি রাজ্যের ক্ষতিপূরণ নিয়ে সওয়াল করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।