রাজ্য কমিটি থেকে শুরু করে শাখা পর্যন্ত এই রণকৌশলে একদিকে সংগঠন মজবুত হয়েছে তেমনই নির্বাচনে তার ভাল ফল মিলেছে বলেই দলের কাছে রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে এটাই কার্যত শাঁখের করাত হতে পারে বলে বেশ কিছু জেলা নেতৃত্ব রিপোর্ট দিয়েছে আলিমুদ্দিনে। কেন? নিস্ক্রিয় কর্মীরা যদি থাকে তাহলে ঘুন ধরা সংগঠন বাঁচানোর কোনও রাস্তা নেই। ঢিলেঢালা সংগঠন নিয়ে পঞ্চায়েতের মতো তৃণমূল স্তরে কাজ করলে আদপে কোনও লাভই হবে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কপালে ধ্যাবড়ানো সিঁদুর-চন্দন, ফের বিয়ের পিঁড়িতে সুজাতা মণ্ডল, পাত্র কে জানেন?
অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের আগে তাঁদের সরিয়ে দিলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু পঞ্চায়েত একেবারে আঞ্চলিক স্তরে হয়ে থাকে সেইসব কর্মীদের ক্ষোভকে অস্ত্র করে সেটা ব্যবহার করতে পারে প্রতিপক্ষ। তাই এই উভয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
জেলায় জেলায় গিয়ে বৈঠক করে রণকৌশল তৈরি করছেন। জেলা ভিত্তিক যেমন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে তেমনই মাঠে নামার আগে ডিজিটাল টিমকেও সাজানো হচ্ছে। এমন অবস্থায় নিস্ক্রিয় কর্মী কাঁটা নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে রাজ্য নেতৃত্ব। যদিও নিস্ক্রিয় কর্মী সমর্থকদের সরানোর অভিযান সক্রিয় রাখার দিকেই পাল্লা ভারি নেতৃত্বের মধ্যে।
দলের রাজ্য কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, "ভোট আসবে ভোট যাবে। পঞ্চায়েতের পরে লোকসভা আসবে। লোকসভার পরে আসবে বিধানসভা। এই ভেবে যদি নিস্ক্রিয় কর্মী যদি রেখে দেওয়া হয় তাহলে তো আর কোনও দিনই এই কাজ শেষ করা যাবে না। বরং রোগ দিন দিন বেড়েই যাবে। তাই রোগ মহামারীর আকার ধারণ করার আগেই চিকিৎসা করতে হবে।"
UJJAL ROY