ডিসেম্বর মাসের ১ থেকে পাঁচ তারিখ পর্যন্ত শহরের ২৫ জায়গায় ক্লাস নেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে কোনও পরিচিত নেতা নয় বরং শিক্ষক, ঐতিহাসিক এবং গবেষকদেরই এই কাজে লাগানো হবে। সিপিএমের দাবি, তারাই দেশের 'আসল ইতিহাস' তুলে ধরবেন সাধারণ মানুষের কাছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত দূষণ কমাতে পারে সহজেই
advertisement
সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, "দেশের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চাইছে আরএসএস। সেই জায়গায় নিজেদের মন গড়া কথা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করতে চাইছে। আমরা বলেছি কিছুতেই সেই কাজ হতে দেওয়া যাবে না। ৬ই ডিসেম্বর আসছে। বাবরি মসজিদ ধংস করার মতো নক্কারজনক কাজ হয়েছিল। এই কথা ইতিহাসে কালো দিন হয়ে থাকবে। আমরা ওই দিন মিছিল করব। আর এ রকম ইতিহাসের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে রাজ্য জুড়ে হবে।"
আরও পড়ুনঃ পায়েলের 'রহস্য মৃত্যু'র কিনারা হয়নি আজও! চার বছর পরও 'দোষীদের' শাস্তির আশায় বৃদ্ধা মা
যদিও সিপিএমের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে শান্তনু সেন বলেন, "যারা ইতিহাস হয়ে গেছে তারা ইতিহাসের কথা শোনাবে! রাজনৈতিক ভাবে আর ঘুরে দাঁরাতে পারবে না।" বিজেপির তরফে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, "বামেরা নিজেরাই ইতিহাস হয়ে গেছেন।"
তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ এই কর্মসূচির পিছনে আরও একটা দিক দেখতে পাচ্ছেন। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে লাগাতার আন্দোলন জারি রেখেছে সিপিএম। এর ফলে একমুখী আন্দোলনের বার্তাই যাচ্ছে মানুষের কাছে। বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপির বিরোধিতা তুলনায় কম পড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন আঞ্চলিক স্তরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিজেপির সাথে জোট করার কথা উঠছে। রাজ্যের শাসক দল সিপিএমের সাথে বিজেপিকে একই বন্ধনিতে রেখে 'রাম-বামের' তত্ত্ব সামনে নিয়ে আসছে। যেটাতে সরাসরি সংখ্যালঘু ভোটে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামি পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেটার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাই গেরুয়া ছোঁয়াচ এড়াতে খানিকটা ভিন্ন কৌশল নিতে হয়েছে সিপিএমকে।
৬ ডিসেম্বর সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবস পালন করে সিপিএম। তার জন্য কিছুদিন আগে থেকে প্রচার কর্মসূচি করা হয়। এ বার ভিন্ন ধরনের কর্মসূচি করে রাজ্য রাজনীতিতে সারা ফেলতে চাইছে দল।