শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশি করে তরুণ মুখের উপরে জোর দিতে চাইছে সিপিএম নেতৃত্ব৷ জেলার নেতৃত্বের কাছেও সেই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: পাহাড়ে তৃণমূল-বিজিপিএম জোট প্রার্থী প্রাক্তন এই আমলা? বড় চমক দিতে পারে বিজেপি-ও
লোকসভা নির্বাচনে কৌশল ঠিক করতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছিল ৭ই ফেব্রুয়ারি। সেখানেই জেলা কমিটিগুলিকে প্রত্যেকটি আসনের জন্য কম করে চারজন প্রার্থীকে প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওই প্রার্থীদের প্রস্তুত করার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে চলতি মাসের মধ্যেই সেখান থেকে একজন প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হবে। মূলত তরুণদের উপরেই এবার লোকসভা নির্বাচনে বাজি রাখতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
advertisement
দলীয় সূত্রে খবর, যুব সংগঠন, ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি মহিলা শ্রমিক সহ বাকি সংগঠনগুলি থেকেও প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। অবশ্যই এর মধ্যে কম বয়সিরাই প্রাধান্য পাবেন। কম বয়সিদের জন্য দরজা খুলে দেওয়ার কর্মসূচি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিল। দলের সম্মেলনে বয়স বেঁধে দেওয়া হয়েছিল যাতে প্রবীণদের বদলে তরুণদের আরও বেশি করে সেই জায়গা করে দেওয়া যায়।
রাজ্য কমিটিতেও তার প্রভাব দেখা গিয়েছে। খুব দ্রুত দলের সব কমিটিতে তরুণদের নিয়ে আসা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিবারই ব্রিগেডে সমাবেশ করে সিপিএম কিন্তু এবারে তার ব্যতিক্রম হয়েছে। ব্রিগেডের ময়দান ভরাতে তরুণদের উপরই ভরসা রেখেছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। যুব সংগঠনের দ্বারাই এবারে ব্রিগেডে মাঠ ভরিয়েছিলেন দলের কর্মী, সমর্থকেরা৷ লোকসভা নির্বাচনেও তারই পুনরাবৃত্তি হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
অন্যদিকে বামফ্রন্টের পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলকে বাদ দিয়ে বাকি দলগুলির সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা দ্রুত শেষ করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে। দ্রুত আলোচনা শেষ করে প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনী প্রচারের জন্য দ্রুত ঝাপাতে হবে, এরকমই রণকৌশল নেওয়া হয়েছে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পথ খোলা রেখেই আপাতত নিজেদের মতো করে ভোট প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব৷