TRENDING:

হঠাৎ সেলিমের নিশানায় কংগ্রেস, জোটে ফাটল? জবাব দিলেন অধীরও

Last Updated:

সিপিএম এবং কংগ্রেসের এই চাপানউতোরে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল এবং বিজেপি৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রানিনগর: সরকারি ভাবে না হলেও বাংলায় তাদের অলিখিত জোট তৈরি হয়েছে৷ নির্বাচনী সাফল্য না পেলেও এ রাজ্যে গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়েছে৷ সাগরদিঘির মতো আসনে একসঙ্গে লড়ে সাফল্যও পেয়েছে দুই দল৷ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে আন্দোলনেও দেখা গিয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতাদের৷
সেলিমের আক্রমণ, জবাব দিলেন অধীর৷
সেলিমের আক্রমণ, জবাব দিলেন অধীর৷
advertisement

সেই বোঝাপড়াতেই হঠাৎ যেন ছন্দপতন ঘটল৷ শুক্রবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরে একটি সভা থেকে তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বসলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম৷ তার জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও৷

আরও পড়ুন: আর্মহার্স্ট স্ট্রিট কাণ্ডে বড় স্বস্তি রাজ্যের, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আর্জিতে সায় দিল না হাইকোর্ট

রানিনগরের সভা থেকে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘ভোরের অন্ধকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ বিমানে রাহুল গান্ধির ঘরে গেলেন৷ আমরা বলছি চোর ধরো জেল ভরো৷ আর তখন রাহুলের পা ধরে গিয়ে বলছে দাদা আমাকে বাঁচাও৷’

advertisement

শুধু তাই নয়, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর রাজ্যে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোট ভেঙে যাওয়া নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক৷ মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘কংগ্রেসকে ছাড়া ২০১১ সালে তৃণমূলের পক্ষে ক্ষমতায় আসা সম্ভব হত না৷ আর ভোটের ছ মাসের মধ্যে কংগ্রেসকে লাথি মারার চেষ্টা করলেন৷ গোটা রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা এটা ভোলেননি৷’

advertisement

যদিও সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধির পা যদি কেউ ধরতে যায় তাহলে কি রাহুল গান্ধি বলবেন ঘরে ঢুকো না?’

সিপিএম এবং কংগ্রেসের এই চাপানউতোরে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল এবং বিজেপি৷ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘২০১১- র ভোটে তৃণমূল একক ভাবেই বামফ্রন্টকে হারিয়েছিল এটি মহম্মদ সেলিমের মনে রাখা উচিত৷ আর ২০১৬ এবং ২০২১ -এ বাংলার মানুষ ওদের শূন্য করে দিয়েছে৷ অবস্থান না বদল করলে আগামী দিনে ওরা মহাশূন্যে পৌঁছে যাবে।’

advertisement

রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা ওদের পারিবারিক মান অভিমানের ব্যাপার৷ তবে সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বাইয়ে একসঙ্গে বসে চা পান করাটা বাংলার বামপন্থী কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না৷ সেসব থেকে নজর ঘোরাতেই মাঝেমধ্যে এই ধরনের মন্তব্য করতে হয়৷’

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
হঠাৎ সেলিমের নিশানায় কংগ্রেস, জোটে ফাটল? জবাব দিলেন অধীরও
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল