কারিগরি বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় এখান থেকেই। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডিজিটাল মাধ্যমকে সংগঠিত ভাবে এবং ব্যাপকভাবে কাজে লাগানোর রণকৌশল নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আর তার জন্য কোমড় বেঁধে নামাতে এই বিশেষ পদক্ষেপ। এর আগে স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করা হয়ে থাকলে এই প্রথম এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল দলীয় তরফে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতের আগে মাস্টারস্ট্রোক! সাগরদিঘিতে বিরাট বার্তা সিপিআইএম-কংগ্রেসের
দলের রাজ্য কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, "স্যোশাল মিডিয়া ছাড়া এখন কোনও কিছু ভাবাই যায় না। সংগঠিত ভাবে বিজেপি এবং তৃণমূল অনেক আগে থেকেই স্যোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে আসছে। আমাদের কর্মী সমর্থকেরাও পালটা সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করেছে। কিন্তু এ বার সংগঠিত ভাবে এই মাধ্যমকে আরও বেশি ব্যবহার করা হবে। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে চলেছে। একদিকে যেমন দলের পক্ষে প্রচার চালানো হবে, তেমনই বিরোধী পক্ষের অপপ্রচারের জবাব দেওয়া হবে। একই সঙ্গে যে সব ফেক নিউজ বাজারে ছাড়া হয়ে থাকে, সঠিক তথ্য দিয়ে তার ভাইরাল করা হবে। যাতে এই টিম একটা ভাল ভূমিকা নেবে।"
আরও পড়ুনঃ নেই মজিদ মাস্টার, ১২ বছর পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসনে উড়ল লাল পতাকা
কী ভাবে কাজ করবে ডিজিটার টিম?
সূত্রের খবর, রাজ্যস্তরের প্রচারের পাশাপাশি আঞ্চলিক স্তরের সমস্যা তুলে ধরা হবে। আঞ্চলিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগ নিয়ে নজরে পঞ্চায়েত করে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকার মানুষের কাছে তা তুলে ধরা হবে। ভোটের সময় প্রচারে কোনও বাঁধা পেলে তার ফুটেজ, অডিও রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রচার করা হবে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের প্রচারের পালটা প্রচারও করা হবে। জেলায় জেলায় স্যোশাল মিডিয়া টিম তৈরি করা হয়েছিল আগেই। সেখান থেকে থেকে বাছাই করা প্রতিনিধিরা এসেছিলেন সেমিনারে।
UJJAL ROY
