রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের নিচুতলার কর্মীদের এই মরিয়া মনোভাবের কথা তুলে ধরেছে জেলা নেতৃত্ব। এবার সেই মেজাজ ধরে রাখতে চায় সিপিএম। তাই এবার থেকে সরাসরি আক্রান্তদের বাড়ি পৌঁছে নেতৃত্ব বার্তা দেবে।
দলের রাজ্য কমিটির এক সদস্যের কথায়, “প্রতিদিন বোঝা যাচ্ছে শাসকদলের অবস্থা আর আগের মতো নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই ভোটে প্রহসন করতে পেরেছে তারা। কিন্তু মনোনয়ন থেকে ভোট পর্যন্ত দলের নেতাকর্মী সমর্থকেরা অনেক জায়গাতেই প্রতিরোধ করে বুঝিয়ে দিয়েছে আর একতরফা কিছু হবে না। প্রশাসন পাশে না থাকলে শাসক দলের কী অবস্থা হয় তা বোঝা গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। সাধারণ মানুষের সাহস বাড়ছে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ যা করে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই চিত্রই দেখা গিয়েছে কর্মীদের মধ্যেও। অনেকটা আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে কিন্তু প্রশাসনের জন্য শাসক দল অনেকটা সুবিধা পেয়ে গিয়েছে। তবে দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের যে মেজাজটা দেখা গিয়েছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তা ধরে রাখতে পারলে অনেকটা ভালই ফল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই কর্মীদের পাশে যে দল রয়েছে সেটা তাঁদের বোঝাতে হবে আর তাহলেই ভবিষ্যতে কর্মীদের চেষ্টা দ্বিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিশেষ করে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তার একটা ভাল ফল দেখা যাবে। “
advertisement
তবে এ রাজ্যে সিপিএম নেতৃত্বের কাছে এখন সবথেকে অস্বস্তির কারণ অবশ্যই জাতীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে এক ছাতার তলায় আসা৷ যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধ প্রাণপাত করে লড়ছেন নিচুতলার কর্মীরা, তাঁদের সঙ্গে সর্বভারতীয় স্তরে কার্যত জোট বেঁধে লড়ছে দল৷ ফলে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হলে সেই কর্মীদের সিপিএম নেতারা বাড়ি গিয়ে কী বোঝাবেন, সেই প্রশ্নও উঠছে৷