উল্লেখ্য ৮ জুলাই জ্যোতি বসুর জন্মদিন। এই দিনকে বই প্রকাশের জন্য বেছে নিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশেষ চমকের আয়োজন করা হয়েছে বিকল্প সামাজিক-সাংস্কৃতিক মঞ্চের তরফে। ওই দিন সিপিআই (এমএল), পিডিএস-এর মত নির্বাচনী জোট বৃত্তের বাইরের দলগুলিও মঞ্চে থাকবেন বামেদের সঙ্গে। থাকবেন বামেদের তরুণ তুর্কিরাও। একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন চলচ্চিত্র পরিচালক শ্রী কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। বই প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত একটি তর্কসভায় অংশগ্রহণ করবেন সিপিআই (এমএল) নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যও। এই পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠানের আগেই আপাতত জল্পনা পুস্তক এর ভিতরে থাকা বিষয় নিয়ে।
advertisement
সূত্রের খবর এই পুস্তকে ১৯৭২ সালের নির্বাচনকে প্রহসন বলা হয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে বামেদের নির্বিচারে হত্যার জন্য কংগ্রেস এবং নকশালদের একই সঙ্গে বিঁধেছেন কান্তি গাঙ্গুলি। কান্তি গাঙ্গুলি নিজের জবানবন্দিতে লেখা হয়েছে, জনৈক কংগ্রেস নেতা তাঁকে বলেছেন, "কান্তি তুই যাদবপুর থেকে পালিয়ে যায়, এখানে থাকলে খুন হয়ে যাবি। তোকে আমরা বাঁচাতে পারব না। জানিস তো আমাদের দলটা কেমন।"
কিছু দিন আগে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য 'কংগ্রেসি গুন্ডা' শব্দবন্ধটি ব্যবহার করে কংগ্রেসের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। ঘটনার জল অনেক দূর গড়িয়েছিল। প্রদেশ কংগ্রেসের স্পষ্ট বক্তব্য অতীতের নানা ব্যাখ্যা রয়েছে, এখন এই জোটে থাকার সময়ে একদেশদর্শীতার কোনও মানে হয় না। একই সঙ্গে তা জোটের পক্ষে বাধা, আবার কংগ্রেসের পক্ষে অবমাননাকরও। বামেদের একটা অংশ আবার জোটে সায় দিলেও ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চান না। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও সম্ভবত সেই দলেই। জোট নিয়ে নানা জল্পনার মাঝে এই বিস্ফোরণে কি গাঁটছড়া ভেঙে যাবে, আপাতত তুমুল জল্পনা এই নিয়ে।