দু'হাজার এগারো সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর থেকে দিন দিন সিপিএমের সংগঠনের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সাথে জোট করে সিপিএম। কিন্তু আসনসংখ্যা কংগ্রেসেরও পিছনে চলে যায়। এবার বিরোধী দলের তকমাও হাতছাড়া হয়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হন কংগ্রেসের আবদুল মান্নান। এরপর শক্তি বাড়াতে শুরু করে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে আঠারোটি আসন পায় তাঁরা। দর কষাকষিতে কংগ্রেসের সাথে সিপিএমের জোট শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়। তবে কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়ে দুটি আসনে প্রার্থী দেয়নি সিপিএম। সেই দুটি আসনই জিতে যায় কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন: 'খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার', সিপিআইএমের কলকাতা জেলা সম্মেলনে তোপের মুখে নেতৃত্ব
কিন্তু কংগ্রেসের সমর্থন করা আসনে সিপিএমের কোনও লাভ হয়নি। অর্থাৎ একটাও আসন জিততে পারেনি তারা। বিধানসভা নির্বাচনেও ছিয়াত্তরটি আসন জিতে বিজেপিই প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায়। বিরোধী দলনেতা হন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস ও আইএসএফের সাথে জোট করে সংযুক্ত মোর্চা তৈরি করেও ফের শূন্য হাতে ফিরতে হয় দলকে। শুধুমাত্র আইএসএফ একটি আসন লাভ করে। কিন্তু পুরসভা নির্বাচনের পর সেই শূন্য থেকেই আবার দল ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ভোট সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দলের। আপাতত শাসক দলের থেকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও বিজেপি ও কংগ্রেসের থেকে এগিয়ে দুনম্বরে অবস্থান করছে দল। আর এই জায়গা থেকেই একলা চলার আওয়াজ উঠেছে।
আরও পড়ুন: লজ্জা! ২ শিক্ষকের হাতাহাতিতে রক্তাক্ত শিক্ষাঙ্গন! দেগঙ্গার বাজিতপুর স্কুলের ভিডিও ভাইরাল!
সম্মেলনে আসা এক প্রতিনিধি বলেন, "বারবার ভোটে দেখা গিয়েছে জোটে আমরা যতোটা আন্তরিক কংগ্রেসের ভোটাররা ততটা নয়। আমরা কংগ্রেসকে ভোট দিলেও কংগ্রেসের ভোটাররা নিজেদের ভোটটা আমাদের দেয়নি। তৃণমূল লাভবান হয়েছে। এর চাইতে একা চলেই লাভ পাওয়া গিয়েছে।" আরেক প্রতিনিধি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, "কংগ্রেসের সাথে জোট না হলে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে। আর কংগ্রেসের ভোটাররা কংগ্রেসকেই ভোট দেবে। এতে তৃণমূলের লাভ হয় না। এই লাভটা জোট না হলেই পাওয়া যায়।" অনেকেই আবার বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফকে জোটে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, "হঠাৎ করে আইএসএফের সাথে জোটটা মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা গিয়েছে। এটা না হলে ফল আরও ভালো হতে পারতো। যেমন এখন হচ্ছে।"
Ujjal Roy