গতবার যাদবপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এবার বামেরা যুবদের উপর ভরসা রাখছে। অপর্ণা সিপিআইএম-এর জেলা নেত্রী। জেলায় মহিলা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন।
অপর্ণা যাদবপুরের সন্তোষপুরের বাসিন্দা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। সুবক্তা। সিপিআইএম দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য। জেলার মহিলা সমিতির নেত্রী। আলিমুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ বলে তাঁর পরিচিতি আছে।
advertisement
অপরদিকে, মথুরাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন ডাক্তার শরৎচন্দ্র হালদার। গতবারও প্রার্থী ছিলেন তিনি। জয়নগরে আরএসপি। ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে ডাক্তার ফুয়াদ হালিম। গতবারও প্রার্থী ছিলেন। তবে, এবার আইএসএফ ডায়মন্ড হারবার সিটটি দাবি করেছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: সর্বনাশ! আশোকনগরে ডাস্টবিনে ওগুলো কী! মাথায় হাত কত মানুষের
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস ও আইএসএফের সমীকরণ মাথায় রেখেই আসন চিহ্নিত করার বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে ভেবেছেন দলীয় নেতৃত্ব। সিপিএম নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে লড়াই করার মতো সাংগঠনিক জোর এখন নেই। তাই যেখানে সামান্য হলেও সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সব আসন নিয়েই আপাতত পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এটি কী প্রাণী বলতে পারবেন? থ বিজ্ঞানীরাও, আসল সত্য বেরিয়ে আসতেই আকাশ থেকে পড়ল সকলে
কয়েক মাস আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএম জোট বেঁধে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছিল বাংলায়। এদিকে জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে মমতাকে। দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নেমে মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের দূরত্ব মিটেছে। তবে সিপিএমের জন্য এই পরিস্থিতি বেশ অস্বস্তিকর। এই আবহে পলিটব্যুরোর তরফে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পলিটব্যুরোর বৈঠকের পর বাম দলের তরফে দাবি করা হয়, বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে এমন কোনও সাংগঠনিক কাঠামো জোটে গড়ে ওঠা ঠিক নয়। ঘুরিয়ে এই সমন্বয় কমিটির যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে সিপিএম। এই আবহে সিপিএম জানিয়ে দেয়, তারা ইন্ডিয়া জোটে আছে। কিন্তু জোটের সমন্বয় কমিটিতে তারা থাকবে না।
এই আবহে রাজ্যে নির্দিষ্ট কিছু আসন নিয়েই চিন্তাভাবনা করছে সিপিএম। আলিমুদ্দিনের তরফে প্রাথমিক ভাবে যে আসনগুলিতে রুপোলি রেখা দেখছে তার মধ্যে রায়গঞ্জ, মালদহ উত্তর ও মুর্শিদাবাদ আসন এ বারও কংগ্রেস ছাড়বে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে সিপিআইএম। প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা তৃণমূল বিরোধিতায় অটল থাকলেও, শেষ পর্যন্ত হাই কম্যান্ডের সঙ্গে কালীঘাটের কী বোঝাপড়া হবে, তা নিয়ে সন্দিহান সিপিএম নেতৃত্বও। আবার আইএসএফ ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করেছে ফুরফুর শরিফের পীরজাদাদের অনেককে তারা প্রার্থী করবে লোকসভায়। নওশাদ নিজেও বলেছেন, দল চাইলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি ডায়মন্ড হারবারে লড়তে রাজি। কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসফের সমীকরণ কী হবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে সিপিএমের অনেকের। এই আবহে যাদবপুরে এবার চমক দিতে চলেছে সিপিআইএম, সূত্রের খবর এমনই।