TRENDING:

West Bengal CPIM|| 'খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার', সিপিআইএমের কলকাতা জেলা সম্মেলনে তোপের মুখে নেতৃত্ব

Last Updated:

CPIM grass root level workers are not happy for committee members Activity: বৃহস্পতিবার থেকে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে শুরু হয়েছে সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্মেলন। সম্মেলনে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক খসড়া পেশ করেন জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: নির্বাচনে ফল খারাপ হোক বা সংগঠন মজবুত না হওয়া, নেতৃত্ব বরাবরই দায় চাপিয়েছে নিচুতলার ওপরে। এবার 'সদর দফতরে কামান দেগে' নেতৃত্বকে তারই পালটা দিল নিচুতলার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার থেকে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে শুরু হয়েছে সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্মেলন। সম্মেলনে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক খসড়া পেশ করেন জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। উপস্থিত ছিলেন দলের দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, ছাড়াও দুই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ও রবীণ দেব।
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।
advertisement

খসড়া প্রতিবেদনে নিস্ক্রিয় কর্মী থেকে সর্বক্ষণের কর্মীদের দুর্বলতা এমনকী নির্বাচনে ও সংগঠন তৈরিতে তাঁদের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়। এরপরেই সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের বক্তব্য পেশ করার সময় আসে। সেখানেই একজন প্রতিনিধি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দাগেন। তিনি বলেন, 'নেতৃত্বের কাজ হল বাড়ি থেকে পার্টি অফিসে আসা আর অফিস থেকে বাড়ি যাওয়া। ফলে নিচুতলার কর্মীদের কাজ করতে কীরকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তা বোঝার মতো অবস্থায় থাকেন না নেতারা। এটা অনেকটা খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার এই তোমাদের পৃথিবীর বাইরে জগৎ আছে তোমরা মানো না।" বক্তার এই বক্তব্য শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিরা বেশ কিছুক্ষণ হাততালি দিয়ে এই বক্তব্যটাকে সমর্থন জানান। এই ঘটনার ফলে অস্বস্তিতে পড়েন সম্মেলনে আসা নেতৃত্ব।

advertisement

আরও পড়ুন: ধুয়েমুছে গেলেও নৈতিক জয় দেখছেন দিলীপ ঘোষ, বামেদের 'উত্থানে' তৃণমূলের হাত?

সম্মেলনে আসা এক প্রতিনিধি জানান, "দীর্ঘদিন ধরেই এই কথাটা সবার মনে মনে ছিলো কিন্তু নেতাদের সামনে কেউ এই কথাটি বলতে পারেনি। সেই কথাটিই একজন বলে ফেলেছে তাই নিচুতলার কর্মীরা খুশি হয়েছে।" আরেকজন প্রতিনিধি জানান, "মাও সেতুঙ বলেছিলেন সদর দফতরে কামান দাগো। এই কমরেড সেই কাজটিই করেছেন। নেতাদের দায়িত্ব নিতে হবে। লকডাউনে অনেক কমরেড কাজ হারিয়েছেন। রোজগারের জন্য চেষ্টা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শাসক দলের তরফ থেকে আক্রমণ চলছেই। এর মধ্যেও কমরেডরা কাজ করে চলেছেন। সবাই আগের মতো সময় দিতে পারছেন না। তাই বলে তাঁদের সমালোচনা করছেন নেতৃত্ব।বরং সেই কমরেডের পাশে দাঁড়ালে তাঁর উপকার হতো। নেতৃত্বের উচিত এইসব কর্মীদের সাহায্য করা। রাস্তায় না বেরোলে তাঁরা কী করে বুঝবেন সমস্যাটা কোথায়! তাঁরা বাড়ি থেকে পার্টি অফিসে আসেন। মিটিং করেন, নিচুতলাকে নির্দেশ দেন। সাফল্য না এলে নিচুতলার ওপরেই দায় চাপান।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
জলের দরে সস্তা নাকি পকেটে কোপ? ভাইফোঁটায় ইলিশ কিনতে কালঘাম ছুটবে নাকি মধ্যবিত্তের?
আরও দেখুন

Ujjal Roy 

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
West Bengal CPIM|| 'খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার', সিপিআইএমের কলকাতা জেলা সম্মেলনে তোপের মুখে নেতৃত্ব
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল