কী সেই দাবি?
সংগঠনের তরফে বকেয়া ৩১ শতাংশ মহার্ঘভাতা অবিলম্বে দিতে হবে। প্রশাসনের অভ্যন্তরে সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। চুক্তি প্রথায় নিয়োজিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ সাপেক্ষে সম কাজে সম বেতন দিতে হবে এবং নিয়মিত কর্মচারীদের মতোন সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে। প্রতিহিংসাপরায়ণ বদলি এবং শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র ধর্মঘটের অধিকারসহ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরণ করা চলবে না। সাম্প্রদায়িক বিভাজন সহ বহুমাত্রিক বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। শনিবার এই সভার সমর্থনে বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন এসএফআইএর কলকাতা জেলা কমিটির সভাপতি দেবাঞ্জন দে ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
advertisement
আরও পড়ুন: ম্যাডক্স স্কোয়ারের আমেজ মিলবে নিউটাউনে! কাদের উদ্যোগে এমন আয়োজন জানেন?
দেবাঞ্জন বলেন, "রাজ্যে একজন মন্ত্রী সিবিআই-এর ভয়ে ট্রেন থেকে নেমে চলে গেলেন কোচবিহারে। পরের দিন দেখা গেল বাগডোগরা বিমান বন্দরে। সেখান থেকে বিমানে করে এসেছেন। এ সব টাকা আমার-আপনার করের টাকা। চুরিতে অভিযুক্ত একজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আমার আপনার কর দেওয়া টাকায়। আর যাদের প্রাপ্য সেই টাকা তাঁরা পাচ্ছে না। একটা কথা সরকারের জেনে রাখা উচিত একদিন গোটা সরকারটাকে পালিয়ে যেতে হবে।"
সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। সরকার সেটা দিতে অস্বীকার করছে। কেনও? সরকার বলছে টাকা নেই। তাহলে খেলা, মেলা, হেলিকপ্টারের জন্য টাকা আছে? দু’হাজার এগারোতে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীসহ বাকি মন্ত্রীদের বেতন বহুগুন বেড়ে গিয়েছে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে পঞ্চম পে-কমিশন তৈরি করা হয়েছিলো। তৃণমূল সরকার অনেক টালবাহানার পর একটা ষষ্ঠ পে-কমিয়ন তৈরি করেছিলো যেটা পুরোটাই ভাওতা। একদিকে আদালতে যেমন লড়াই চলছে চলুক অন্যদিকে রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।" এ দিকে সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
UJJAL ROY