এই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। যখন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী টাটা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেই সময় হাসপাতাল বিল বাবদ পেমেন্টের ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন রাজীব। তার কাছে ইডি আধিকারিকদের প্রশ্ন কেন এই টাকা দিয়েছিলেন? সূত্রের খবর, রাজীবের দাবি, তিনি ঋণ হিসেবে ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলকে। যা শুনে পাল্টা প্রশ্ন ইডির- কোনও এগ্রিমেন্ট করেছিলেন টাকা দেওয়ার আগে?
advertisement
আরও পড়ুন : চন্দ্রগ্রহণের পর শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল মাটি! দুইয়ের মধ্যে কী সম্পর্ক? জানুন বড় সত্যি
সূত্রের দাবি, এক্ষেত্রে রাজীবের উত্তর, জেলার পাওয়ারফুল লিডার অনুব্রত। টাকা দেওয়ার আগে কোনও এগ্রিমেন্ট করা হয়নি। টাকা ফেরত পেয়েছেন? প্রশ্ন ইডির। উত্তরে রাজীব জানিয়েছেন, ঋণ হিসেবে দেওয়া ৭৫ লক্ষ টাকা ফেরত পাননি তিনি।এখানেই শেষ নয়। ভোলে ব্যোম রাইস মিলের শেয়ার কিনেছিলেন রাজীব। তাতে কি কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল? জানতে চান ইডি আধিকারিকরা বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও সুকন্যার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে রাজীব ভট্টাচার্য। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কমলাকান্ত ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়েও।
আরও পড়ুন : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজর দাম! চোখে ঝাঁঝ মধ্যবিত্তের! কবে কমবে দাম? জানুন সব...
সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে একাধিক নথিও জমা দিয়েছেন রাজীব ভট্টাচার্য। তাতে আর্থিক লেনদেন, শেয়ারের নথিও রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। পাঁচ দিনে প্রায় ৫০ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। তবে আগামী দিনে প্রয়োজন হলে তাকে ফের ডাকা হতে পারে খবর।
প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলায় এর আগে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখামুখি হয়েছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। সেই সময় তিনি একাধিক নথি তুলে দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকের হাতে। তদন্তে তিনি সহযোগিতা করছেন বলেও জানিয়েছিলেন।