চন্দ্রগ্রহণের পর শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল মাটি! দুইয়ের মধ্যে কী সম্পর্ক? জানুন বড় সত্যি

Last Updated:
Eclipse & Earthquake: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণের পর মঙ্গলবার গভীর রাতে ভূমিকম্পের প্রবল কম্পনে আতঙ্কিত মানুষ। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালে, যার মাত্রা ছিল ৬.৩। এই ভূমিকম্পের প্রভাব গোটা উত্তর ভারতে দৃশ্যমান ছিল। জেনে নিন বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্র কি বলে...
1/11
বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণের পর মঙ্গলবার গভীর রাতে ভূমিকম্পের প্রবল কম্পনে আতঙ্কিত মানুষ। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালে, যার মাত্রা ছিল ৬.৩। এই ভূমিকম্পের প্রভাব গোটা উত্তর ভারতে দৃশ্যমান ছিল। 
বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণের পর মঙ্গলবার গভীর রাতে ভূমিকম্পের প্রবল কম্পনে আতঙ্কিত মানুষ। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালে, যার মাত্রা ছিল ৬.৩। এই ভূমিকম্পের প্রভাব গোটা উত্তর ভারতে দৃশ্যমান ছিল। 
advertisement
2/11
দিল্লি-এনসিআর এবং লখনউতেও কেঁপে ওঠে মাটি। ঘরে নিশ্চিন্তে বিছানায় শুয়ে ঘুমন্ত মানুষ আচমকা কম্পনে আতঙ্কে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। সিলিং ফ্যানগুলো কাঁপতে থাকে। কিন্তু এই ভূমিকম্প, হারিকেন ঝড় এবং অন্যান্য আরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে কি গ্রহনের আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে?
দিল্লি-এনসিআর এবং লখনউতেও কেঁপে ওঠে মাটি। ঘরে নিশ্চিন্তে বিছানায় শুয়ে ঘুমন্ত মানুষ আচমকা কম্পনে আতঙ্কে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। সিলিং ফ্যানগুলো কাঁপতে থাকে। কিন্তু এই ভূমিকম্প, হারিকেন ঝড় এবং অন্যান্য আরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে কি গ্রহনের আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে?
advertisement
3/11
জ্যোতিষীদের মতে, চন্দ্রগ্রহণ সরাসরি ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। গ্রহনকে জ্যোতিষশাস্ত্রে অশুভ এবং ক্ষতিকর প্রভাব বলে মনে করা হয়। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি চন্দ্রগ্রহণের আগে দিল্লি-এনসিআর, পাকিস্তান এবং কাজাখস্তানে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.১।
জ্যোতিষীদের মতে, চন্দ্রগ্রহণ সরাসরি ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। গ্রহনকে জ্যোতিষশাস্ত্রে অশুভ এবং ক্ষতিকর প্রভাব বলে মনে করা হয়। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি চন্দ্রগ্রহণের আগে দিল্লি-এনসিআর, পাকিস্তান এবং কাজাখস্তানে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.১।
advertisement
4/11
এবারেও একই ঘটনা ঘটেছে। চন্দ্রগ্রহণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয় পৃথিবী কাঁপানোর প্রক্রিয়া। প্রাচীন গণিতবিদ বরাহ মিহিরের বৃহৎ সংহিতা অনুসারে, ভূমিকম্পের কিছু কারণ রয়েছে, যার জন্য আমরা ইঙ্গিত পাই। এর মধ্যে একটি হল গ্রহন যোগ।
এবারেও একই ঘটনা ঘটেছে। চন্দ্রগ্রহণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয় পৃথিবী কাঁপানোর প্রক্রিয়া। প্রাচীন গণিতবিদ বরাহ মিহিরের বৃহৎ সংহিতা অনুসারে, ভূমিকম্পের কিছু কারণ রয়েছে, যার জন্য আমরা ইঙ্গিত পাই। এর মধ্যে একটি হল গ্রহন যোগ।
advertisement
5/11
কখন গ্রহন হয়? পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয় এবং যখন চাঁদ সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে আসে তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে। গ্রহণের দিনের পর যে কোনও সময় অর্থাৎ ৮০ দিনের মাঝামাঝি হতে পারে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কখনও কখনও এই সময়কাল আরও কম হয় এবং ১৫ দিন আগে বা ১৫ দিন পরে ভূমিকম্প হয়।
কখন গ্রহন হয়? পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয় এবং যখন চাঁদ সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে আসে তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে। গ্রহণের দিনের পর যে কোনও সময় অর্থাৎ ৮০ দিনের মাঝামাঝি হতে পারে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কখনও কখনও এই সময়কাল আরও কম হয় এবং ১৫ দিন আগে বা ১৫ দিন পরে ভূমিকম্প হয়।
advertisement
6/11
বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা বলে, যে টেকনোটিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ভূমিকম্প হয় এবং তারপর তা থেকে সুনামির জন্ম হয়। যেখানে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, টেকটোনিক প্লেটগুলি নড়াচড়া করে এবং গ্রহগুলির প্রভাবে সংঘর্ষ হয়। প্লেটের উপর গ্রহের প্রভাবের উপর ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ভর করবে।
বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা বলে, যে টেকনোটিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ভূমিকম্প হয় এবং তারপর তা থেকে সুনামির জন্ম হয়। যেখানে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, টেকটোনিক প্লেটগুলি নড়াচড়া করে এবং গ্রহগুলির প্রভাবে সংঘর্ষ হয়। প্লেটের উপর গ্রহের প্রভাবের উপর ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ভর করবে।
advertisement
7/11
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, চন্দ্রগ্রহণ জল এবং সমুদ্রকে প্রভাবিত করে। গ্রহণ ইতিমধ্যেই আসন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ইঙ্গিত দেয়। যদিও অনেকে এটা বিশ্বাস করেন, কেউ কেউ করেন না। সাধারণত, ভূমিকম্প হয় দিনের বেলা ১২টার মধ্যে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এবং মধ্যরাত পর্যন্ত বা সূর্য উদয় পর্যন্ত।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, চন্দ্রগ্রহণ জল এবং সমুদ্রকে প্রভাবিত করে। গ্রহণ ইতিমধ্যেই আসন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ইঙ্গিত দেয়। যদিও অনেকে এটা বিশ্বাস করেন, কেউ কেউ করেন না। সাধারণত, ভূমিকম্প হয় দিনের বেলা ১২টার মধ্যে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এবং মধ্যরাত পর্যন্ত বা সূর্য উদয় পর্যন্ত।
advertisement
8/11
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সেই এলাকায় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেখানে গ্রহনের স্পষ্ট প্রভাব দেখা যায় এবং যেখানে পৃথিবীর নীচে পরিস্থিতি বিপরীত। পৃথিবীর বিশেষ প্লেটের কাছেই ভূমিকম্প হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সেই এলাকায় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেখানে গ্রহনের স্পষ্ট প্রভাব দেখা যায় এবং যেখানে পৃথিবীর নীচে পরিস্থিতি বিপরীত। পৃথিবীর বিশেষ প্লেটের কাছেই ভূমিকম্প হয়।
advertisement
9/11
একটি গ্রহণে, গ্রহগুলি একে অপরের উপর তাদের ছায়া ফেলে। এই ছায়া চাঁদে পড়ুক বা পৃথিবীতে পড়ুক, উভয়ের ওপরই এর প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া কোন বিশেষ কারণে যখন সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে পড়ে না, তখন চাঁদ ও পৃথিবী উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
একটি গ্রহণে, গ্রহগুলি একে অপরের উপর তাদের ছায়া ফেলে। এই ছায়া চাঁদে পড়ুক বা পৃথিবীতে পড়ুক, উভয়ের ওপরই এর প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া কোন বিশেষ কারণে যখন সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে পড়ে না, তখন চাঁদ ও পৃথিবী উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
advertisement
10/11
এই প্রভাব দৃশ্যমান হয় সূর্যগ্রহণের পর বাতাসের গতিবেগ পরিবর্তিত হয় এবং পৃথিবীতে বজ্রপাত ও ঝড়ের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। জ্যোতিষীদের মতে, গ্রহণের সময় যখন পৃথিবী এবং চাঁদ সূর্যের সামনের দিকে একটি সরল রেখায় আসে তখন ভূতাত্ত্বিক গতিবিধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
এই প্রভাব দৃশ্যমান হয় সূর্যগ্রহণের পর বাতাসের গতিবেগ পরিবর্তিত হয় এবং পৃথিবীতে বজ্রপাত ও ঝড়ের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। জ্যোতিষীদের মতে, গ্রহণের সময় যখন পৃথিবী এবং চাঁদ সূর্যের সামনের দিকে একটি সরল রেখায় আসে তখন ভূতাত্ত্বিক গতিবিধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
advertisement
11/11
জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর প্রভাব মানুষের জীবনে দেখা যায়। চাঁদ যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসে, তখন মাধ্যাকর্ষণ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এ কারণে পূর্ণিমার দিনে সাগরে সর্বোচ্চ জোয়ার আসে এবং গ্রহণের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়। আর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বৃদ্ধি ও হ্রাসের কারণে ভূমিকম্প হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর প্রভাব মানুষের জীবনে দেখা যায়। চাঁদ যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসে, তখন মাধ্যাকর্ষণ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এ কারণে পূর্ণিমার দিনে সাগরে সর্বোচ্চ জোয়ার আসে এবং গ্রহণের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়। আর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বৃদ্ধি ও হ্রাসের কারণে ভূমিকম্প হয়।
advertisement
advertisement
advertisement