করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে এদিন অতীন বলেন, ‘‘করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের স্প্রেড করার ক্ষমতা আছে৷ কিন্তু আঘাত করার ক্ষমতা বা মৃত্যুর ঘটানোর ক্ষমতা ততটা নেই। শ্বাসনালীতে অ্যাফেক্ট করছে, তার ফলে সর্দি কাশি, জ্বরে ভুগছেন রোগীরা৷ তাঁদের যদি টেস্ট করানো হয়, হয়ত তাহলে তাদের করোনা পজেটিভ ধরা পড়বে। অর্থাৎ, টেস্ট যত বাড়বে করোনার সংখ্যাও তত বাড়বে।’’
advertisement
অতীন জানান, কলকাতায় এখন তিনশোর কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত। কিন্তু কেউ সংকটজনক নয়। দু থেকে তিন শতাংশ যাঁরা বয়স্ক মানুষ রয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। তাঁরাও কোনও সঙ্কটে নেই। দু-তিনদিনে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন৷ ২০২২ এর পর যাঁরা জয়েন করেছেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে,তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কীভাবে করোনা মোকাবিলা করতে হয়।
তবে আশঙ্কা না করার পাশাপাশি জনসাধারণকরে সচেতন থাকারও বার্তা দেন অতীন৷ তাঁর পরামর্শ, ‘‘একটা শর্ট ফর্ম আছে এসএমএস ‘স্যানিটাইজেশন, মাস্ক এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স’। যদি সর্দি-কাশি, জ্বর হয় তাহলে আমি ভিড়ের মধ্যে যাব না। ভিড় টাকে অ্যাভয়েড করব। মাস্ক অনেকেই এ দূষণের জন্য পড়ে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য। নিজেকে সংক্রামক রোগ থেকে মুক্ত থাকতে সচেতন থাকতে হবে। হাত ধুয়ে খাবার খাওয়ার মতন স্যানিটাইজেশনের অভ্যাসটা রাখতে হবে। মানুষকে একটাই বার্তা দেব, যে সচেতন থাকুন। করোনা নিয়ে কলকাতায় এই মুহূর্তে কোনও ভয়ের কারণ নেই।’’
বর্ষা এলেই ছড়ায় ডেঙ্গি আতঙ্ক৷ ডেঙ্গি মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা? উত্তরে মেয়র পারিষদ জানান, ‘‘আমরা সতর্ক। ২০২৫ কে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। কারণ ২০২৪ এ আমাদের ডেঙ্গির প্রভাব নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা খুব একটা বেশি কিছু নয়। স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিটি কর্মীকে সতর্ক ও রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি যেখানেই খবর আসছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।। আগামী ৪ জুন এবং ১১ জুন দুটি বৈঠক রয়েছে। এভাবেই ক্রমশ স্বাস্থ্য বিভাগের বৈঠক সহ অন্যান্য বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে।’’
তিনি জানান, ‘‘বাসিন্দাদের কেউ যদি পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ব্যবস্থা না নেন, তাঁর বিরুদ্ধে ৪৯৬ ধারায় মামলা করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আবর্জনা আমরা সরিয়ে নিলেও সেই চার্জ তার সম্পত্তি করে সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতার খালে যে মশা হয় সেই মশা সংখা দিকে বেশি কিউলেক্স মশা। এর থেকে ফাইলেরিয়া হতে পারে। কিন্তু বিরক্তির উদ্বেগ করে। কলকাতার মূল বাইশটা খালি যেখানে নাম্যতা মোজে যায়নি সেখানে আমরা বোর্ড চালিয়ে মশার লার্ভা প্রতিরোধক কীটনাশক স্প্রে করা হয়৷ ’’