প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পায় সিবিআই। এমনকি সিবিআই-এর তরফে দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর। তার পরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে দিল্লির রোজ অ্যাভিনিউ ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিশেষ আদালতে সয়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন করা হয়।
শুধু তাই নয়, এই তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতের কাছে আবেদন করে বলা হয়, আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অভিযুক্ত সায়গল হোসেনকে জেরা করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক এবং সেই বিষয়ে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিক আদালত। এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয় বিশেষ আদালতে। আদালত সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দু'টি আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আরও খবর, আদালতের বক্তব্য এই মামলা দিল্লির অন্তর্গত নয়। মামলা চলছে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে। সিবিআই তদন্তে গ্রেফতার হয়েছে এই অভিযুক্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: শহরে আবার টাকার পাহাড়, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার ৭ কোটি, চলছে টাকা গোনা
সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত সায়গলকে জেরা করতে হলে আসানসোলের সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে হবে। উল্লেখ্য, এই গরু পাচার মামলায় একদিকে সিবিআই ও অন্যদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্ত করছে। জুন মাসে সিবিআর হাতে গ্রেফতার হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহ রক্ষী সায়গল হোসেন।
গ্রেফতারের পর তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। এমনকি গরু পাচারের লাভের টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে নাম উঠে এসেছে তার, তাই এই সকল আর্থিক লেনদেন নিয়েই সায়গল হোসেনকে জেরা করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইডি। তাই আদালত হয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল আদালতে। এখন দেখার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে ইডিট তরফে কোন আবেদন জমা পড়ছে কিনা।