রাজ্য়ের উচ্চপদস্থ আমলার ছেলে রাজ্য়ের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী ৷ ওই তরুণকে আপাতত বেলেঘাটা আইডিতে স্পেশাল কোয়ারেন্টাইন কেবিনে রাখা হয়েছে ৷ তরুণের সংস্পর্শে আসায় তাঁর মা-বাবা ও গাড়ির ড্রাইভারকেও কোয়েরান্টাইনে অন্য় সন্দেহভাজনদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে ৷ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছেন ওই ৷ শরীরে সাধারণভাবে করোনার উপসর্গ বলতে আমরা যা জানি, সেরকম কিছুই ছিল না ৷ তাই তাঁর থুতু পরীক্ষার রিপোর্টে কোভিড ১৯ পজিটিভ আসায় চিকিৎসকেরাও ধন্দে পড়ে যান ৷ বারবার রিপোর্ট দেখে ডাক্তারেরা নিশ্চিত হন ওই তরুণ সংক্রমিত৷ আপাতত তাঁর সামান্য় সর্দি ছাড়া কোনও অস্বাভাবিকতা নেই ৷ তাই সেভাবেই চিকিৎসা করা হচ্ছে তাঁর ৷ এছাড়া তাঁকে বেলেগাটা আইডি-এর বিশেষ কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে তাঁকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে ৷ শারীরিকভাবে কোনও গম্ভীর পরিস্থিতি না থাকলেও চলছে যন্ত্রের সাহায্য়ে মনিটরিং ৷ তরুণের কোনও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়া হচ্ছে কিনা সেদিকেই আপাতত নজর রেখেছেন চিকিৎসকেরা ৷
advertisement
গত ১৫ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন ৷ সেসময় তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার কোনও লক্ষণ ছিল না ৷ বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়েও কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি ৷ তাই সেসময় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছিল ৷ স্পর্শকাতর এলাকা থেকে আসার জন্য় গতকাল অর্থাৎ সোমবার তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল ৷ তখনও তাঁর শরীরে করোনার কোনও লক্ষণই ছিল না ৷ এইদিন সকালে স্বাস্থ্য় দফতরের কথায় তিনি বেলেগাটা আইডিতে আসেন এবং তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ৷ বিকেলে রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় সেই মতো শুরু হয় ব্য়বস্থা নেওয়া ৷
বিমানবন্দরে ফিল আপ করা স্বাস্থ্য় দফতরের ফর্মে উল্লেখিত তথ্য পরে খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায়, দেশে ফেরার ঠিক আগেই ওই তরুণ লন্ডনের যে পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন সেখানে অনেকেরই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন৷ তারপরই স্বাস্থ্য় দফতরের তরফে তৎপরতা শুরু হয় ৷ ইতিমধ্য়ে দেহে সংক্রমণের লক্ষণ না থাকাতেও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার খবরে আতঙ্কিত অনেকেই ৷ কিন্তু চিকিৎসকেরা বারবার আশ্বস্ত করে জানাচ্ছেন, অনেক সময় সংক্রমণের উপসর্গ প্রকাশ পেতে বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে যায় ৷ তাই কোনও সংক্রামিত এলাকা থেকে এলে বা করোনা সংক্রামিত রোগীর সংস্পর্শে এলে হোম কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা ৷
