প্রশাসন সূত্রের খবর, গত শুক্রবার রাতের দুর্ঘটনার পর পরই সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে খোলা হয় বিশেষ কন্ট্রোল রুম৷ সেখানকার দায়িত্বে রয়েছেন বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শীর্ষ আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে এল বন্দে ভারত প্রসঙ্গ.. এ কী বললেন অভিষেক?
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ২টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে আহতদের মেদিনীপুরে আনা হয়৷ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল,মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও খড়্গপুর হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে৷ সেখানে সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে৷
advertisement
রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানান, শনিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত ৭৫ জন আহতকে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বহু আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। আহতদের চিকিৎসায় যাতে কোনও রকমের ত্রুটি না থাকে, সেই কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল টিম৷ সেই দলে রয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা।
আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ছাড়াল ১০০০, মৃত্যুমিছিল বঙ্গেরও
এছাড়াও, এদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত চার জন ব্যক্তিকে ভর্তি করানো হয়৷ এঁদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তিনজনকে৷ একজন মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে, শিয়ালদহ এনআরএস হাসপাতালে পাঁজরের হাড় ভেঙে চিকিৎসাধীন উত্তর ২৪ পরগনা সন্দেশখালি বাসিন্দা এক পরিযায়ী শ্রমিক। বেহালা বিদ্যাসাগর জেনারেল হাসপাতালে দুজন আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইএম বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিয়ালদহ বি আর সিং রেলওয়ে হাসপাতাল একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
