দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হয়? কিন্তু এখন তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল, যাঁরা কাজে যাচ্ছিলেন, যাঁরা চিকিৎসার জন্য ট্রেনে উঠেছিলেন তার কী হবে। বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, বহু শ্রমিক গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন বিভিন্ন হাসপাতালে। কেউ হয়তো ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে কাজ হারানোর বিরাট আশঙ্কাও গ্রাস করছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘এক অপরিচিত দাদার পকেট থেকে ফোন বের করে জানাল, ও মরে গেছে! তাহলে?’
দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছিলেন অনেকে। সেগুলিরও কোনও ঠিক-ঠিকানা থাকল না শুক্রবারের এই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার পর। সূত্রের খবর, মৃত্যুর সংখ্য়া ৩০০ ছুঁতে পারে। বাংলার অন্তত ৩১জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। এই সংখ্য়াটাও বাড়তে পারে। ৫৪৪জন জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১২৮ কিমি গতিবেগে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, কিন্তু কেন? বিরাট রহস্য
ওড়িশার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার ছায়া পড়েছে বাংলাতে। একাধিক পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। বাংলার বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য চেন্নাইতে যাচ্ছিলেন। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। আবার পেটের টানেও ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন বাংলার বেকার যুবকরা। অনেকেরই নিথর দেহ ফিরবে বাড়িতে। এমন অন্ধকার হয়তো কোনওদিন দেখেননি পরিবারের লোকেরা। যাঁরা বেঁচে ফিরেছেন তাঁরাও গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়ে গেলেন।