সব জেলার জেলাশাসকদের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বৃষ্টির পরবর্তীকালে জমা জল ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে। জলমগ্ন এলাকার তালিকা, সেখানকার মানুষের অবস্থা ও সম্ভাব্য ঝুঁকির জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ একাধিক জেলায় জল জমে রয়েছে বহু নীচু এলাকায়।
advertisement
অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজ্য, সতর্ক প্রশাসন, জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্যসচিবের
কলকাতা শহরের বহু অঞ্চলে—বিশেষত বেহালা, কসবা, টালিগঞ্জ, সাঁতরাগাছি, নিউ আলিপুর—বৃষ্টি থামলেও এখনও হাঁটুজলের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও জলবন্দি বহু পরিবার।
🚨 প্রশাসনিক নির্দেশ: নজরদারি, ত্রাণ ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে
জেলাশাসকদের বলা হয়েছে—
- জলমগ্ন এলাকাগুলির ওপর প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাতে হবে।
- প্রয়োজন হলে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে।
- সেক্ষেত্রে চালু করতে হবে লঙ্গরখানা ও অস্থায়ী ত্রাণ শিবির।
- ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী পর্যাপ্ত রাখতে হবে যাতে কোনও ঘাটতি না হয়।
- শহর ও শহরতলির জমা জল যাতে দ্রুত বার করা যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন ও পাম্প প্রস্তুত রাখতে হবে।
🏘️ জেলাগুলির পরিস্থিতি: কোথায় কী অবস্থা
- হাওড়া: সাঁতরাগাছি, বাঁকড়া ও বেলুড় এলাকায় নীচু অঞ্চলে জল জমে বহু পরিবার জলবন্দি।
- নদীয়া: কৃষ্ণনগর, রানাঘাটে জল জমে ব্যাহত জনজীবন।
- উত্তর ২৪ পরগনা: হাবরা, বারাসত ও মধ্যমগ্রামে একাধিক রাস্তা জলমগ্ন।
- দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ক্যানিং, কুলতলি ও গোসাবা এলাকায় ঘর ভেঙেছে, একাধিক পরিবার গৃহহীন।
- পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম: নিচু জমিতে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা।
জেলাশাসকদের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। প্রয়োজনে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।