এদিন সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সামনে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন৷ কিন্তু, আমি এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না৷ শুধু বলব, উনি বারবার বলেছেন উনি ইন্ডিয়া জোটের অংশ, আমরাও ইন্ডিয়া জোটের অংশ৷ আমরা এক সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে, আরএসএস-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি৷’’
জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রাজ্য রাজনীতির নিরিখে যে ভিন্নমত রয়েছে, তা একপাশে রেখে কেন্দ্রীয় রাজনীতির কথা ভেবে পদক্ষেপ করতে হবে৷ কারণ, এটা বিধানসভা নির্বাচন নয়, লোকসভা নির্বাচন৷ মমতার করা ‘৪০ আসনে’র মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘আমি জানি না ওঁকে কে এই আসন সংখ্যার অঙ্ক বোঝাচ্ছেন, এই পরিসংখ্যান একেবারেই ঠিক নয়৷’’
advertisement
আরও পড়ুন: এখনও বেপাত্তা সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’! শেখ শাহজাহানকে আবারও নোটিস ইডি-র
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেড রোডে ধর্না দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গত শুক্রবার সেই মঞ্চ থেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সভা থেকে মমতা এ-ও বলেছিলেন যে, তিনি মালদায় ২টি আসন ছাড়তে চেয়েছিলেন কংগ্রেসকে, কিন্তু, কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি৷ মমতা বলেছিলেন, ‘‘ওদের আরও সিট চাই…বাংলায় তৃণমূল একা লড়বে৷ কংগ্রেস একা লড়ুক ৪২টা আসনে৷’’
এদিনও কংগ্রেস বিরোধী মন্তব্য করতে শোনা যায়, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও৷ তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের নেতারা দিল্লিতে যখনই আমার সঙ্গে এসে কথা বলেছে তখন আমি তাদের এক কথা বার বার করে বলেছি পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে তুলে দেওয়ার জন্য একমাত্র যদি কেউ থাকে তাহলে তারঁ নাম অধীর চৌধুরী। এই পশ্চিমবাংলায় খানদানি বিশ্বাসঘাতক রাজনৈতিক দল যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে তার নাম কংগ্রেস। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পরে অধীর চৌধুরী আর লোকসভায় যাবেন না। তাঁকে আমরা যেতে দেব না।’’
এরপরেই বিস্ফোরক দাবি করেন কল্যাণ, বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধি কি জামিনে নেই, সনিয়া গান্ধি কি জামিনে নেই! আগে নিজেদের নেতাদের দেখো। কংগ্রেস কোনও অ্যাডজাস্টমেন্টে চলে যায়নি তো বিজেপির সঙ্গে নিজেদের নেতাদের বাঁচাতে গিয়ে?’’