বুধবার প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন কার্যকরী কমিটি, নির্বাচন কমিটি এবং পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে এআইসিসি। সেই তিন বৃহৎ কমিটিতেই কমবেশি সব শিবিরের নেতাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তাতে যেমন শুভঙ্কর শিবিরের লোক রয়েছেন, তেমনই অধীর শিবিরের লোক রয়েছেন। যারা অধীরের আমলে দলে একেবারে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন তাঁদেরও অনেককে বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মায়ের বয়স ২৬, মেয়ের ২০ আর ছেলে ১৮ বছরের! বিজ্ঞানকেও হার মানাবে ভোটার তালিকা, বাংলার কোথায়?
সন্তোষ পাঠক, অমিতাভ চক্রবর্তীদের মতো প্রদেশ সভাপতি ঘনিষ্ঠ নেতা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। প্রয়াত সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্রকেও প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। পলিটিকাল অ্যাফেয়ার্স কমিটি আর ইলেকশন কমিটি দুটির মাথাতেই দায়িত্বে থাকছেন রাজ্যের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক গোলাম আহমেদ মীর। সচরাচর ওই কমিটির মাথায় থাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিই। সম্ভবত গোষ্ঠীকোন্দল এড়াতেই শুভঙ্করকে ওই পদ দেওয়া হল না।
আরও পড়ুন: কখনও মেঘ-কখনও রোদ্দুর, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ঠান্ডা আবহাওয়া! রাঢ় বাংলায় বেড়ানোর প্ল্যান থাকলে জানুন
জেলা সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শুভঙ্কর সরকারের মতামতকে। প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক বড় জেলাকে ভেঙে ছোট ছোট সাংগঠনিক জেলা হিসাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় ছিলেন শুভঙ্কর। তাঁর সেই দাবি মেনে একাধিক সাংগঠনিক জেলাকে ভেঙে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। অধীরের অনুরোধ রেখে মুর্শিদাবাদ জেলার সংগঠনকে ভাঙা হয়নি। ওই জেলায় সভাপতিও করা হয়েছে অধীর ঘনিষ্ঠ মনোজ চক্রবর্তীকে।
উত্তর কলকাতা মধ্য কলকাতা, দুটি জেলাতেই প্রদেশ সভাপতি ঘনিষ্ঠদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে রাহুল গান্ধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ২৬ এর নির্বাচনের আগে কি তাহলে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন সেই প্রশ্নই জোরালো হচ্ছে। যদিও কংগ্রেসের রাজ্যের নেতৃত্ব কোনো রকম নতুন সমীকরণের কথায় আমল দিতে নারাজ।
সুস্মিতা মণ্ডল
