আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ মানস কবি বলেন , ‘‘আগের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মে থেকে ইতিমধ্যেই গ্রীষ্মকালীন বিরতি চলছে কলেজগুলিতে। শিক্ষক পড়ুয়া সকলেই এখন নিজের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। হঠাৎ করে এই অ্যাডভাইজারির ফলে সমস্যা তৈরি হবে কলেজগুলিতে। বিশ্ববিদ্যালয় উচিত ছিল নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সঙ্গে কথা বলে অ্যাডভাইজারই প্রকাশ করা।’’
আরও পড়ুন: পুলিশের ইউনিফর্ম পরে তোলাবাজি! সিভিক ভলান্টিয়ারকে কড়া শাস্তি…জানুন কী করল লালবাজার
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবশ্য ব্যাখ্যা, অভিন্ন ভর্তি প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের সেমেস্টার সিস্টেমে ক্লাসের সময় অনেকটা কমে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এই অ্যাডভাইজারি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন, ‘‘সেমেস্টার সিস্টেমে বিরতি বলে কিছু নেই। আমাদের স্ট্যাটুটে পরিবর্তন হয়নি। তাই বিরতি কথাটা উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা কলেজগুলির কাছ থেকেও এই বিষয়ে সহযোগিতা চাই ছাত্র স্বার্থে।’’
বেশ কিছু কলেজের দাবি, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অভিন্ন স্ট্যাটুড হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এই ধরনের সমস্যা থাকবে। নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দেব ষড়ঙ্গী এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অভিন্ন স্ট্যাটুড না থাকায় এই ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। অল বেঙ্গল প্রিন্সিপাল কাউন্সিলের তরফ থেকে আমরা অনলাইনে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছি। যাতে এ বিষয়ে সকল অধ্যক্ষরা একত্রিত হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’’