২ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা এই পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। কলেজ সার্ভিস কমিশনের আধিকারিক জানিয়েছেন, “প্রথমবার আমরা স্বচ্ছতা ও দ্রুত পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য এই ধরনের পোর্টালের ব্যবহার করছি। এতে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন বিষয়ের উত্তর নিয়ে যে অভিযোগ আছে তা খুব সহজেই আপলোড করতে পারবে। তারপর বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ভারত না পাকিস্তান…! কোন ‘দেশকে’ বেশি পছন্দ করেন বাংলাদেশিরা? চমকে দেবে সমীক্ষা!
প্রসঙ্গত, আগে পরীক্ষার্থীদের এই ধরনের উত্তর চ্যালেঞ্জ করার জন্য কলেজ সার্ভিস কমিশনের অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হত বা ইমেইল মারফত তাদের যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হত। তা সংগ্রহ করে তারপর তার বিষয় ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ দিয়ে যাচাই করা অনেকটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল।
এতে ফল বেরোতে বেশ খানিকটা দেরি হত। এই নয়া পদ্ধতির মাধ্যমে তা অনেকটাই দ্রুত হবে বলে মনে করছে কলেজ সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ গ্রহণ হওয়ার পর দশ দিন মতো সময় লাগবে কমিশনে সমস্ত কিছু যাচাই করতে। আর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তারা চূড়ান্ত উত্তরপত্র আপলোড করবে বলে জানাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই প্রকাশ করা হবে সেট-এর ফল। তা আগেই জানিয়েছিল কমিশন।
যদি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন দ্রুত সম্পন্ন করা হয় তাহলে তার আগেও ফল বের হতে পারে বলে কমিশন সূত্রের খবর। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণেরা রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর’ পদে আবেদনের সুযোগ পাবেন।
এই পরীক্ষাটি পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন (ডব্লিউবিসিএসসি)-এর তরফে পরিচালিত হয়। চলতি বছর পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ৫৮,৮৬৭ জন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত দু’টি ভাগে এই পরীক্ষা হয়। ৩৪টি বেশি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় ৮৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রে। ৬০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কমিশন।
রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধ্যাপনার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় (সেট) জালিয়াতি রুখতে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ সার্ভিস কমিশন। প্রশ্নপত্রে জিপিএস ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্কে ছিল মেকানিক্যাল কম্বিনেশন কোড যুক্ত বিশেষ তালা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়