দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর থেকে পাইপলাইন তৈরির কাজ চললেও গলসীর কাছে বাবলাতলায় কয়েকশো মিটার এলাকায় জমির সমস্যার কারণে ওই কাজ বহু দিন থমকে ছিল। সম্প্রতি সেই জট কেটেছে। গ্যাসের সরবরাহকারী সংস্থা আগামী দু’মাসের মধ্যে পাইপলাইনে কলকাতা পর্যন্ত সিএনজি পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। আগামী দু’মাসের মধ্যে কলকাতায় কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি)-এর জোগানের সমস্যা মিটে যাবে বলে জানালেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে পাঁচটি সিএনজি বাস পরিষেবা শুরু হয়েছে উল্টোডাঙা থেকে সাপুরজি পর্যন্ত৷ কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় বাস মালিকদের লোকসান হচ্ছে ৷
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘আমি ভিআইপি কার্ডের বিরুদ্ধে…’ পুজো নিয়ে নেতাজি ইনডোরে বড় ঘোষণা মমতার
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন রয়েছে ৷বেসরকারি বাস মালিক পক্ষ পাঁচটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিএনজি বাস নিয়ে শুরু করে পরিষেবা । রুট হল উল্টোডাঙা-হাডকো মোড়-সিএ আইল্যান্ড-বিকাশ ভবন-করুণাময়ী-এসডিএফ মোড়-টেকনোপলিশ-নিউটাউন-নারকেল বাগান-আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সাপুরজি ।বেসরকারি বাস সংগঠন সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের উদ্যোগে সিএনজি চালিত এসি বাস পথে নামে। পরিষেবা শুরু করার সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে প্রাথমিকভাবে ডিজেলে চালানোর কথা ভাবা হলেও পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাসগুলি সিএনজি-তে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, “ওই বছরের এপ্রিল মাসে আমরা যখন এই বাসগুলি পথে নামাই তখন সিএনজি-র দাম ছিল 62 টাকা প্রতি কেজি । বর্তমানে সেই দাম দিয়ে দাঁড়িয়েছে 89.25 টাকায় । শুরুর দিকে বাস চালিয়ে কিছুটা লাভ হলেও এখন একেবারেই লোকসানে চলছে সিএনজি বাস পরিষেবা । পাশাপাশি ট্যাঙ্ক থেকে গ্যাস ভরার সময় যে নির্দিষ্ট প্রেশারে গ্যাস ভরা হয়, তাও কম । তাই যেই টাকা দিচ্ছি সেই পরিমাণে গ্যাস পাচ্ছি না । যদিও সম্প্রতি বর্তমান পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর হস্তক্ষেপে কিছুটা বাড়ানো গিয়েছে প্রেশার । তাই সমস্যা কিছুটা হলেও সুরাহা হয়েছে ।”