এই নিয়ে বেশ কয়েক দফার নির্দেশ আগামী ২১ তারিখের বৈঠক থেকে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা জানুয়ারির প্রথম দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই গঙ্গাসাগর সফরে যেতে পারেন। সাধারণত গঙ্গাসাগর মেলার আগে মুখ্যমন্ত্রী সরেজমিনে গঙ্গাসাগরে যান। ডিসেম্বরের শেষ দিকে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর সফরে যেতে পারেন সেই প্রস্তুতি ধরেই এগোচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্য সচিব এক প্রস্থ বৈঠক করে ফেলেছেন।
advertisement
মূলত দু'বছর করোনা কাটিয়ে এবার পূণ্যর্থীদের ভিড় সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। আর তাই জনসমাগম বেশি হবে ধরে নিয়ে পরিষেবার পরিধিও বাড়ানো হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল। মেলায় করোনা সংক্রমণ আটকাতেও থাকছে বিশেষ নজরদারি। প্রায় ১০০ জন চিকিৎসক-সহ বিভিন্ন স্তরে ৭০০-রও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী মোতায়েন থাকবেন এই অস্থায়ী হাসপাতালগুলিতে। মেলায় এসে যারা অসুস্থ হয়ে পড়বেন তাদের জন্য ডায়মন্ডহারবার হাসপাতাল সাগর হাসপাতাল কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল-সহ আশপাশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শতাধিক বেড সংরক্ষিত থাকবে। ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে যাবে এই মেলা কেন্দ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবা।
গুরুতর অসুস্থদের দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে আনতে একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, দুটি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্সও রাখা থাকবে। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই সাগরে তিনটি হেলিপ্যাড বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সেই হেলিপ্যাডগুলি বানানোর কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। গঙ্গাসাগর সফরে সেই হেলিপ্যাড গুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই জল্পনা।