মূলত, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পুজো বলে পরিচিত এই পুজো মণ্ডপে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানে দুর্গা প্রতিমার চোখও আঁকেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই মণ্ডপে দাঁড়িয়ে আপ্লুত হয়ে মমতা বলেন, “ববি যা করেছে এবার সেরার সেরা না হয়ে যায়! কত খরচ হয়েছে জানিনা। প্যান্ডেল খুব সুন্দর হয়েছে। দারুণ হয়েছে।”
এরপরেই সাধারণ দর্শকদের উদ্দেশে সাবধানী সুরে বলেন, “যারা ঠাকুর দেখতে আসবেন, তারা সাবধানে আসবেন। মন্ডপে ধাক্কা খাবেন না।”
advertisement
এরপরেই এই পুজোর মজার কথা টেনে আনেন তিনি, তিনি বলেন, “এই পুজোর বিশেষত্ব হচ্ছে। ভিড়ের কথা ছেড়ে দিন। চার দিন ধরে যা রান্না হয় এখানে সবাই পাড়া প্রতিবেশী খায়, মজা করে। আমার বাড়িতেও এই খাবার যায়।”
তাঁর কথাতে নির্মলা মিশ্রের কথাও ঘুরেফিরে আসে। তিনি বলেন, “এখানে এলেই আমি নির্মলা মিশ্রকে মিস করি। এই পাড়াতেই উনি থাকতেন।”
তিনি বলেন, “আগে বাসন্তী পুজো হত। এরপর দুর্গা পুজো। সেটাই আস্তে আস্তে জাতীয় উৎসব হয়ে গেল। আমরা তাই জগন্নাথ ধামের মতো গড়ব দূর্গাঙ্গন। আর্কিটেকচার ডিপিআর প্রস্তুত।”
এরপরেই তিনি কেন্দ্রকে একহাত নেন। তিনি বলেন, “যে যা খুশি বলুক, আমরা ম্যানুফাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিতে একনম্বর। এরা কেন্দ্রের টাকা দিচ্ছে না। পানীয় জলের টাকাও দিল না। যদিও আমাদের ৯০% খরচ করেছি।
জিএসটি কর ছাড় বড় বড় কথা যারা বলছে তারা জেনে রাখুন, আমরাই প্রথম এই বিষয়ে সরব হয়েছিলাম। এতে আমাদের রেভিনিউ লস হয়েছে।
এরপর পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। ভাষা আমাদের মা। বাংলা আমাদের অস্মিতা। বাংলা ভাষা পৃথিবীতে দুই নম্বরে। তারপরেও অত্যাচার। কালকেও একটা আইন করেছে। এত বিভাজন কেন? যে যার মতো থাকবে, খাবে। এটাই ছোটবেলা থেকে শিখেছি।”
পুজোর মধ্যেও এসআইআর নিয়ে জনগণকে সতর্ক করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “পুজোর মধ্যে খেয়াল রাখবেন। নাম কেটে দিতে পারে ভোটার তালিকা থাকে। আমি আগের ভোটার লিস্ট দেখেছি। একটা বাঙালির সাথে চার জন গুজরাতি। এটা কি মজা হচ্ছে নাকি? আমরা সব ভাষা ভালোবাসব, কিন্তু বাংলাকে ছাড়ব না। বাংলা আমাদের ভালোবাসা। আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ করতে গেলে মারধর করা হচ্ছে। কেন? এমন হচ্ছে।”