বাম সরকারের শেষ শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘পরিবারকে সমবেদনা জানাই ৷’
advertisement
নিরুপম সেনের প্রয়াণে শোকাহত বাম রাজনৈতিক মহল ৷ সেই সংবাদ পাওয়ার পরই ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী ৷ তিনি লেখেন, ‘নিরুপম সেনকে রেড স্যালুট ৷ তাঁর প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত আমি ৷’
১৯৬৮ সালেই নাদনঘাটে বর্ধমান জেলার দশম সম্মেলনে নিরুপম সেন সিপিআই(এম)-র জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮৯ সালে কমরেড রবীন সেন বর্ধমান জেলা কমিটি সম্পাদক পদ থেকে পার্টির রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীতে এলে বর্ধমান জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পান নিরুপম সেন। সেই সময় থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ জেলা থেকে রাজ্যে বর্ধিত দায়িত্ব নিয়ে আসেন ৷ ১৯৯৮ সালে কলকাতায় সি পিআই(এম)-র ষোড়শ কংগ্রেসে তিনি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন ৷ ২০০৮ সালের পার্টি কংগ্রেসে তিনি সিপিআই(এম)-র পলিটব্যুরোর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ৷
সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘বেকার সমাজের কথা ভেবেই সিঙ্গুরে শিল্প কারখানা তৈরির চেষ্টা করেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু বিরোধীদের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত আর তা হয়ে ওঠেনি বলে আক্ষেপ ছিল নিরুপম সেনের ৷’
ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ৷ তিনি লেখেন, ‘আজ সকালে আমরা নিরুপম সেনকে হারিয়েছি ৷ তিনি একজন সত্যিকারের কমিউনিস্ট ছিলেন ৷ রাজ্যের কৃষক সম্প্রদায় এবং মেহনতি মানুষের জন্য তিনি সবসময়ই ছিলেন নিবেদিত প্রাণ ৷’
২০০৬ সালে বিপুল জনমত নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিল বাম সরকার ৷ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল শক্তিশালী সরকার ৷ সেই তখন থেকেই শিল্প নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেছিল রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রীসভা ৷ ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যত ৷’ এই স্লোগানের অন্যতম জন্মদাতা ছিলেন প্রয়াত নিরুপম সেন ৷