তবে শুধু ক্লাস নেওয়া নয়, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ মারফত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্ন করতে পারবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সেই নাম্বার দেওয়া হয়েছে। মূলত ১৮০০১০৩৭০৩৩ এই নম্বরে ফোন করে প্রশ্ন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। মূলত বিশেষ বিশেষ অধ্যায়ের উপর বিশিষ্ট শিক্ষকরা ক্লাস নেবেন। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, "শুধু ক্লাস নেওয়া নয়, অনুষ্ঠান শেষে হোম টাস্ক দেবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুল খুললে সেই হোমটাস্ক গুলি ছাত্র-ছাত্রীদের জমা দিতে হবে।" শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন "মুখ্যমন্ত্রী চিন্তিত ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন নিয়ে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
advertisement
করোনা আতঙ্কে দেশজুড়ে চলছে লক ডাউন। পাশাপাশি এ রাজ্যেও করোনা মোকাবিলায় জারি আছে লক ডাউন। গত ১৫ মার্চ থেকে করোনা আতঙ্কে রাজ্য স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় একমাসেরও বেশি সময় ধরে স্কুল গুলি বন্ধ থাকার জেরে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ইতিমধ্যেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোন ছাত্রছাত্রীকে ফেল করানো যাবে না বলে ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। শুক্রবার আরও একধাপ এগিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের এই লকডাউন এর মধ্যেই ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল। রাজ্যের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য দূরদর্শন মারফত ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা শুক্রবার ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মূলত বিকেল চারটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান " ছাত্র-ছাত্রীরা অনুষ্ঠানের আগে বা অনুষ্ঠান চলাকালীন ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোন করে তাদের প্রশ্ন করতে পারবেন।" শিক্ষা মন্ত্রী আরও জানান, "১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটি করে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ছাত্র-ছাত্রীদের দেবেন। সেই টাস্ক এসএমএস ফোন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ মারফত ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনভাবেই ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।"
SOMRAJ BANDOPADHYAY