আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ
নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৷ ইন্টারভিউ ও লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে ৷ ২০১৬ সালে পরীক্ষা হয় ৷ পরীক্ষার ফল বেরোয় ২০১৮ সালের মার্চে ৷
advertisement
পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়ম ৷ অনুযায়ী প্রথমে বেরোবে ইন্টারভিউয়ের তালিকা ৷ তারপর নম্বর ভিত্তিক মেধাতালিকা ৷ শেষে নিয়োগতালিকা বা প্যানেল ৷
আরও পড়ুন: ২০২০ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ আইসিসি-র, দেখে নিন কবে মাঠে নামছে ভারত
প্রার্থীদের দাবি, কমিশন নম্বর-ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই নিয়োগ-তালিকা প্রকাশ করে দেয়। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। মেধা তালিকা প্রকাশের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে ২০১৮ সালের আঠারই সেপ্টেম্বর আদালত রায় দেয়,এক মাসের মধ্যে নম্বর ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে ৷
তারপর তিনমাসের বেশি সময় কেটে গেলেও মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়নি। আদালত অবমাননার মুখে পড়েন এসসিসি চেয়ারপার্সন ও সচিব। নোটিস পাঠালেও এজলাসে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের ফ্লেক্স, তোরণ ছেঁড়ার অভিযোগে উত্তপ্ত মালদহ
২০১৯-এর ১৮ জানুয়ারি আদালতে অবমাননার রুল জারি হয় দুজনের বিরুদ্ধে ৷ রুল জারি হওয়ায় সোমবার হাইকোর্টে হাজির হন এসএসসি সচিব অশোক সাহা ৷ সোমবারসেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নাহলে আদালত অবমাননার জন্য এসএসসি সচিবকে জেলে ভরা হবে ৷
মঙ্গলবার এসএসসি-র তরফে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয় আদালতে। তাদের তরফে জানানো হয়, যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল সেটা প্যানেল নয়। একসঙ্গে মেধাতালিকা এবং প্যানেল প্রকাশ হয়েছিল। তাদের দাবি এসএসসি বিধিতে কোথাও লেখা নেই যে মেধাতালিকা এবং প্যানেল প্রকাশ করা যাবে না। এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়ে রেহাই দেওয়া হয় এসএসসি সচিবকে ৷ তবে মামলাকারীদের বলা হয় যে তারা চাইলে এই বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা করতে পারেন ৷